Place for Advertisement

Please Contact: spbjouralbd@gmail.com

ভূমিদস্যুরা চিহ্নিত: দখলে সাঁওতালদের প্ররোচনা জুগিয়েছে- শিল্প সচিব

যুগান্তর রিপোর্ট    |    
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০:০০


ভূমিদস্যুদের একটি স্বার্থান্বেষী মহলই রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ খামারের সরকারি জমি দখলে সাঁওতাল সম্প্রদায়কে প্ররোচনা জুগিয়েছে। তারা সাঁওতালদের সামনে রেখে পেছনে ভাড়াটে লোক দিয়ে সেখানে অরাজকতা চালিয়েছে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এরই মধ্যে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। তারা এখন নজরদারিতে রয়েছেন। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম উপস্থিত ছিলেন।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এখন ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের অপচেষ্টা করছে একটি মহল। প্রকৃতপক্ষে মিল খামারের সরকারি জমি উদ্ধারের ক্ষেত্রে আদিবাসীদের কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। এমনকি যেসব সাঁওতালকে উচ্ছেদ করা হয়েছে দাবি করা হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তারা কখনও এই জমির মালিক ছিলেন না। স্থানীয় সবার সহযোগিতায় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সুশৃংখল অভিযান চালিয়ে দখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করেছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় সরকার এক্ষেত্রে কোনো ধরনের তাড়াহুড়ো করেনি। বরং ঘটনা মোকাবেলায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার সময় যে তিনজন নিহত হয়েছে, তাদের মৃত্যুর সঙ্গে উচ্ছেদ কার্যক্রমের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে নাকি গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন তা মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত সাঁওতালদের মধ্যে যাদের বাড়িঘর নেই তাদের একটি সরকারি খাস জমি দেয়া হবে। কিন্তু কোনোভাবেই সুগার মিলের নিয়ন্ত্রণাধীন সাহেবগঞ্জ কৃষি খামারের এক হাজার ৮৪২ একর জমি কাউকে দখল করতে দেয়া হবে না।
শিল্প সচিব বলেন, ভূমিদস্যুরা সাঁওতালদের সামনে রেখে বাইরে থেকে কিছু লোক ভাড়া করে এনে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে খামারের একটি অংশে অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। তাদের প্রত্যেকের সে এলাকায় নিজস্ব বাড়িঘর আছে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ১ সেপ্টেম্বর আখ রোপণ মৌসুম শুরু হয়। মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা খামারের সরকারি জমিতে আখ চাষ করতে গেলে অবৈধ দখলদাররা তীর, ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের আহত করে। ২০ সেপ্টেম্বর খামারের উন্নয়নমূলক কাজ করতে গেলে মিলের শ্রমিক কর্মচারীরা পুনরায় অবৈধ দখলদার দ্বারা লাঞ্ছিত হন এবং সাঁওতাল ও স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠী একত্রিত হয়ে মিলের ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার মালামাল ক্ষতি করে।
গোবিন্দগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানানো হলে ৬ অক্টোবর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও উপজাতিসহ অবৈধ দখলদারদের খামার এলাকা ছাড়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারের পরও ওই দখলদাররা বিষয়টিতে নজর দেননি। উল্টো পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি সমাধান করতে গেলে অবৈধ দখলদারদের আক্রমণে ১০/১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।

http://www.jugantor.com/last-page/2016/11/15/76793/%E0%A6%A6%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%93%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87
Share on Google Plus

About Santali Pạrsi

0 comments:

Post a Comment