Place for Advertisement

Please Contact: spbjouralbd@gmail.com

অধিগ্রহণ করা জমি ফেরতের সুযোগ নেই সাঁওতালদের: ডেপুটি স্পিকার

কালের কণ্ঠ অনলাইন , ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ২২:২২ 
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, ‘১৯৫৫-৫৬ সালে বাজার মূল্যে সাঁওতাল ও মুসলমানদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৭০ বছর পর সেই জমি কিভাবে নিজেদের দাবি করে ফেরত চায় সাঁওতালরা। অধিগ্রহণ করা জমি কাগজ কলমে ফেরত পাওয়ার সুযোগ নেই সাঁওতালদের। ’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর চিনিকলের মহিমাগঞ্জ ক্যান-ক্যারিয়ার প্রাঙ্গণে চলতি আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘১৯৫৫-৫৬ সালে মিল কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণের সময় সাঁওতালদের জমি ছিল ৪ থেকে ৫ শতাংশ। আর বাকি জমি ছিল এলাকার মুসলমানদের। সেই সময়ের বাজার মূল্যে এসব জমি অধিগ্রহণ করে মিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সাঁওতালরা যে কারো উস্কানিতে জমি ফিরে পাওয়ার আশায় আন্দোলন শুরু করেছে। সাঁওতালরা যদি কাগজে কলমে দেখাতে পারে এই জমি তাদের, তাহলে অবশ্যই তারা জমি ফেরৎ পাবে। ’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও বিএসএফআইসি ঢাকার পরিচালক (উৎপাদন ও প্রকৌশল) ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবর রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক (অতিরিক্ত) রাজস্ব আলহাজ ছামছুল আজম, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন ফকু, গোবিন্দগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যাপক আবু তাহের, আখ চাষী কল্যাণ গ্রুপের সভাপতি জিন্নাত আলী প্রধান, রংপুর চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল।
প্রসঙ্গত, রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ ১৯৫৫-৫৬ সালে আখ চাষের জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ (বাগদা-কাটা) এলাকায় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ১৮৪২ একর জমি অধিগ্রহণ করে। পরে এসব জমি বাপ-দাদার দাবি করে আন্দোলনে নামে আদিবাসী (সাঁওতাল) সম্প্রদায়ের লোকজন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে তারা ১ জুলাই এই খামারের প্রায় ১০০ একর আবাদী জমিতে ছোট ছোট কুড়ে ঘর নির্মাণ করে। পরে ৬ নভেম্বর পুলিশ পাহারায় রংপুর চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী জমিতে আখ রোপণ করতে গেলে সাঁওতালদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৯ পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এরপরেই রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ-র‌্যাব ও স্থানীয় কতিপয় লোকজনের সহায়তায় খামার এলাকায় থাকা শতশত ছোট এক চালা ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
http://www.newspapers71.com/345090/%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%A3%20%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%20%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%20%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%20%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87%20%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%93%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%3A%20%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0
 
Share on Google Plus

About Santali Pạrsi

0 comments:

Post a Comment