Place for Advertisement

Please Contact: spbjouralbd@gmail.com

সাঁওতালদের ‘বাঙালি দুষ্কৃতিকারী’ সম্বোধন: হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন গাইবান্ধার ডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬
সাঁওতালদের ‘বাঙালি দুষ্কৃতিকারী’ বলার জন্য আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আব্দুস সামাদ। একই শব্দের জন্য গাইবান্ধা পুলিশের বিশেষ শাখার সুপারকেও তলব করেছেন হাইকোর্ট। তাকে আগামী ২ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি গোবিন্দগঞ্জে চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদের সময় গুলির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশে তাদের বাঙালি দুষ্কৃতিকারী বলেছিলেন গাইবান্ধার ডিসি। এ জন্য তাকে হাইকোর্টে তলব করা হয়। গতকাল তিনি হাজির হয়ে হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত মা চান। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।
ওই উচ্ছেদের ঘটনায় করা দুটি রিট আবেদনের শুনানিতে গত ৬ ডিসেম্বর গাইবান্ধার ডিসির দেওয়া একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর হাইকোর্ট তাকে তলব করেন। সেদিন আদালতের আদেশে বলা হয়, ‘বাঙালি দুষ্কৃতিকারী’ একটি উন্নাসিক শব্দ। এ ধরনের শব্দ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা ব্যবহার করত। জেলা প্রশাসক ‘আইন অমান্যকারী’ বা অন্য কোনো শব্দ ব্যবহার করতে পারতেন। তা না করে কেন তিনি ‘বাঙালি দুষ্কৃতিকারী’ লিখেছেন, তার ব্যাখ্যা জানা প্রয়োজন।’
সাঁওতালদের পে করা প্রথম মামলার বাদী স্বপন মরমুকেও ১২ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করতে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার ও গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী গাইবান্ধার ডিসি গতকাল সকালে হাইকোর্টে উপস্থিত হন। স্বপন মরমুকেও আদালতে নিয়ে আসে স্থানীয় প্রশাসন। ডিসি আদালতকে বলেন, ‘গাইবান্ধা পুলিশের বিশেষ শাখার সুপার যে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন, তাতে ‘বাঙালি দুষ্কৃতিকারী’ শব্দটি ছিল, যা তদন্ত কমিটি গঠনের চিঠিতেও ‘অসাবধানতাবশত’ চলে আসে। এ কারণে আদালতের কাছে নিঃশর্ত মা প্রার্থনা করছি।’ ডিসির বক্তব্য অনুযায়ী, পুলিশের বিশেষ শাখার প্রতিবেদনেও ওই শব্দ থাকায় সংশ্লিষ্ট সুপারকে এর পর তলব করেন আদালত। বিষয়টি আগামীকাল ১৪ ডিসেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য রাখা হয়েছে।
http://www.dainikamadershomoy.com/todays-paper/firstpage/53005/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%83%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF

Share on Google Plus

About Santali Pạrsi

0 comments:

Post a Comment