তথ্য নিয়ে বিতর্ক ও বিভ্রান্তি দূর হবে বলে প্রত্যাশা
আদিবাসীদের নৃ-ভাষা বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা হচ্ছে
পার্থ শঙ্কর সাহা | তারিখ: ২২-০২-২০১৩
বাংলাদেশের আদিবাসীদের নৃ-ভাষাবৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশে এ ধরনের ভাষাভিত্তিক জরিপের উদ্যোগ এটাই প্রথম। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এ সমীক্ষার কাজটি করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর আওতায় আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষাবৈজ্ঞানিক বৃত্তান্ত তৈরি করবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশে বাঙালি ছাড়া বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থাকলেও এসব জাতি ও তাদের ভাষা সম্পর্কে সঠিক তথ্যের অভাব রয়েছে। বিদ্যমান সরকারি তথ্য নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। সরকার মনে করছে, নৃ-ভাষাবৈজ্ঞানিক সমীক্ষা হলে বিতর্কের অবসান হবে।
ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জীনাত ইমতিয়াজ আলী বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের সব আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর ভাষাবৈজ্ঞানিক বৃত্তান্ত তৈরি করা হবে। এখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জনসংখ্যা নিরূপণের পাশাপাশি তাদের ভাষা ও উপভাষার তালিকা তৈরি হবে।
ভাষা ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুর রশীদ জানান, ইতিমধ্যে পাঁচ কোটি টাকার প্রাথমিক বরাদ্দের আবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে। কর্মসূচিটি অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সমীক্ষাটি করতে মোট পাঁচ বছর লাগতে পারে বলে জানান অধ্যাপক সাইফুর রশীদ। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সৌরভ সিকদার বলেন, ‘ আদিবাসীরা কোন কোন ভাষা ব্যবহার করে, তাদের উপভাষা, একটি জাতির ভাষার সঙ্গে অন্য ভাষার সম্পর্ক বা মিশ্রণ, বর্ণমালা, জাতিগোষ্ঠীগুলোর ভৌগোলিক অবস্থান, ভাষা পরিবারের বৃত্তান্ত—এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।’
দেশে এযাবৎ হওয়া পাঁচটি আদমশুমারিতে আদিবাসীদের বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে। সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য বিভ্রান্তির জন্য পরিসংখ্যান ব্যুরো ভুল স্বীকারও করেছে। চাকমা সার্কেলের প্রধান দেবাশীষ রায় বলেন, এ ধরনের ভুল ভবিষ্যতে যেন না হয়, এ জরিপে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জীনাত ইমতিয়াজ আলী বলেন, ‘নৃগোষ্ঠীর (আদিবাসী) সংখ্যা বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে সরকারি যেসব পরিসংখ্যান আছে, সেগুলোকে ভুল বা সঠিক কোনোটিই আমরা বলছি না। একবারে নতুন করে জাতিগোষ্ঠীগুলোর সংখ্যা নিরূপণ করা হবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর আওতায় আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষাবৈজ্ঞানিক বৃত্তান্ত তৈরি করবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশে বাঙালি ছাড়া বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থাকলেও এসব জাতি ও তাদের ভাষা সম্পর্কে সঠিক তথ্যের অভাব রয়েছে। বিদ্যমান সরকারি তথ্য নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। সরকার মনে করছে, নৃ-ভাষাবৈজ্ঞানিক সমীক্ষা হলে বিতর্কের অবসান হবে।
ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জীনাত ইমতিয়াজ আলী বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের সব আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর ভাষাবৈজ্ঞানিক বৃত্তান্ত তৈরি করা হবে। এখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জনসংখ্যা নিরূপণের পাশাপাশি তাদের ভাষা ও উপভাষার তালিকা তৈরি হবে।
ভাষা ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুর রশীদ জানান, ইতিমধ্যে পাঁচ কোটি টাকার প্রাথমিক বরাদ্দের আবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে। কর্মসূচিটি অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সমীক্ষাটি করতে মোট পাঁচ বছর লাগতে পারে বলে জানান অধ্যাপক সাইফুর রশীদ। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সৌরভ সিকদার বলেন, ‘ আদিবাসীরা কোন কোন ভাষা ব্যবহার করে, তাদের উপভাষা, একটি জাতির ভাষার সঙ্গে অন্য ভাষার সম্পর্ক বা মিশ্রণ, বর্ণমালা, জাতিগোষ্ঠীগুলোর ভৌগোলিক অবস্থান, ভাষা পরিবারের বৃত্তান্ত—এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।’
দেশে এযাবৎ হওয়া পাঁচটি আদমশুমারিতে আদিবাসীদের বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে। সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য বিভ্রান্তির জন্য পরিসংখ্যান ব্যুরো ভুল স্বীকারও করেছে। চাকমা সার্কেলের প্রধান দেবাশীষ রায় বলেন, এ ধরনের ভুল ভবিষ্যতে যেন না হয়, এ জরিপে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জীনাত ইমতিয়াজ আলী বলেন, ‘নৃগোষ্ঠীর (আদিবাসী) সংখ্যা বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে সরকারি যেসব পরিসংখ্যান আছে, সেগুলোকে ভুল বা সঠিক কোনোটিই আমরা বলছি না। একবারে নতুন করে জাতিগোষ্ঠীগুলোর সংখ্যা নিরূপণ করা হবে।’
Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-02-22/news/331100
*******************************************************************************
About Santali Pạrsi
0 comments:
Post a Comment