09 January 2013, Wednesday
রাজশাহী, ০৯ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : সাঁওতাল শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষার জন্য রোমান বর্ণমালায় পাঠ্যপুস্তক রচনাসহ সাত দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে আদিবাসী মুক্তি মোর্চা। বুধবার দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো বিভাগীয় শহর রাজশাহীসহ সব জেলা শহরে সাঁওতালি ভাষা একাডেমি স্থাপন, সরকারি উদ্যোগে সাঁওতালি ভাষায় শব্দকোষ ও পুস্তক রচনার উদ্যোগ গ্রহণ, সাঁওতালি সংস্কৃতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, ভাষা উন্নয়নে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের আওতায় আদিবাসী ভাষা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে ভাষা সংরক্ষণ, ব্যবহার ও বিকাশে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ ও সমতলের আদিবাসীদের জন্য আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ গঠন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাঁওতাল জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে কোনো ভূঁইফোড় জনগোষ্ঠী নয়। সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের শক্ত শিকড়। এই শিকড়ের ধারাবাহিকতায় সমতল ভূমিতে বসবাসরত সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কালের পরিক্রমায় শাসক ও শোষকগোষ্ঠী সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচয় মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচয় নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে আসছে শাসক ও সুবিধাবাদি গোষ্ঠী।
স্বাধীনতাসহ বাঙালির সকল মুক্তিসংগ্রামে সাঁওতালরা অংশগ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বর্তমানে রাষ্ট্রের এক ভয়াবহ রাজনীতির খেলা সমতলের সাঁওতালদের সমাজ বদলের স্বপ্ন ও দিন বদলের স্বপ্নকে ভূলন্ঠিত করেছে।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী আাদিবাসীদের নিজস্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার যে উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে, তাকে সাদুবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে সাঁওতাল আদিবাসীদের প্রাথমিক পাঠ্য পুস্তক রচনায় রোমাণ বর্ণমালা ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আদিবাসী মুক্তি মোর্চা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়াস ডুমরী, সাঁওতালি ল্যাঙ্গুয়েজ ডেভেলেপমেন্ট কমিটির সভাপতি গাব্রিয়েল হাঁসদা, মাহালে ল্যাঙ্গুয়েজ ডেভেলেপমেন্ট কমিটির সভাপতি মেরিনা হাঁসদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Source: http://www.justnewsbd.com/details.php?jnewsbd=MjIwMTY=
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো বিভাগীয় শহর রাজশাহীসহ সব জেলা শহরে সাঁওতালি ভাষা একাডেমি স্থাপন, সরকারি উদ্যোগে সাঁওতালি ভাষায় শব্দকোষ ও পুস্তক রচনার উদ্যোগ গ্রহণ, সাঁওতালি সংস্কৃতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, ভাষা উন্নয়নে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের আওতায় আদিবাসী ভাষা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে ভাষা সংরক্ষণ, ব্যবহার ও বিকাশে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ ও সমতলের আদিবাসীদের জন্য আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ গঠন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাঁওতাল জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে কোনো ভূঁইফোড় জনগোষ্ঠী নয়। সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের শক্ত শিকড়। এই শিকড়ের ধারাবাহিকতায় সমতল ভূমিতে বসবাসরত সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কালের পরিক্রমায় শাসক ও শোষকগোষ্ঠী সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচয় মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচয় নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে আসছে শাসক ও সুবিধাবাদি গোষ্ঠী।
স্বাধীনতাসহ বাঙালির সকল মুক্তিসংগ্রামে সাঁওতালরা অংশগ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বর্তমানে রাষ্ট্রের এক ভয়াবহ রাজনীতির খেলা সমতলের সাঁওতালদের সমাজ বদলের স্বপ্ন ও দিন বদলের স্বপ্নকে ভূলন্ঠিত করেছে।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী আাদিবাসীদের নিজস্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার যে উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছে, তাকে সাদুবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে সাঁওতাল আদিবাসীদের প্রাথমিক পাঠ্য পুস্তক রচনায় রোমাণ বর্ণমালা ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আদিবাসী মুক্তি মোর্চা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়াস ডুমরী, সাঁওতালি ল্যাঙ্গুয়েজ ডেভেলেপমেন্ট কমিটির সভাপতি গাব্রিয়েল হাঁসদা, মাহালে ল্যাঙ্গুয়েজ ডেভেলেপমেন্ট কমিটির সভাপতি মেরিনা হাঁসদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Source: http://www.justnewsbd.com/details.php?jnewsbd=MjIwMTY=
***********************************************************************
0 comments:
Post a Comment