একুশে সংবাদ: ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠির শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষক নির্দেশিকা স্ব স্ব মাতৃভাষায় প্রণয়ন করা হবে। এ সব জাতি গোষ্ঠি কর্তৃক অনুসৃত হরফ তাদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভুক্ত হবে। ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠির নিজস্ব ভাষায় পাঠ্য পুস্তক প্রণয়নের সকল দিক বিবেচনা করে একটি কৌশলপত্র প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠির প্রতিনিধিদের সাথে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) এস.এম. আশরাফুল ইসলাম এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় সকলের সম্মতিক্রমে জনসংখ্যা ও বর্ণমালার সহজলভ্যতার প্রেক্ষিতে প্রথম পর্যায়ে চাকমা, মারমা, সাওতাল, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রি ভাষাভাষীদের নিজস্ব ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে ঢাকাস্থ ইউনিসেফের শিক্ষা ব্যবস্থাপক মহসিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগের অধ্যাপক জনাব সৌরভ সিকদার, রাঙ্গামাটি চাকমা প্রতিনিধি মৃত্তিকা চাকমা, সাওতাল প্রতিনিধি রবীন্দ্রনাথ সরেন, রাঙ্গামাটি ত্রিপুরা প্রতিনিধি প্রশান্ত ত্রিপুরা, গারো প্রতিনিধি সঞ্জিব ধ্রুং, মারমা প্রতিনিধি প্রফেসর মং সানু চৌধুরী ও এনসিটিবি গবেষণা কর্মকর্তা মুশিদ আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর অন্যান্য লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের সাথে প্রাথমিক স্তরের সকল ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার জন্য স্ব স্ব মাতৃভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে গত ৩১ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এম.এম. নিয়াজউদ্দিনের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। কোন শ্রেণী হতে কোন শ্রেণী পর্যন্ত এরূপ পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হবে, মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে এসব শিশুদের সম্পৃক্তকরণে কি পদ্ধতি হবে, পাঠ্যপুস্তকে কি কি বিষয় অর্ন্তভূক্ত করা হবে সে বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র জাতি সত্বার প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
Source:http://www.ekusheysangbad.com/index.php/education-news/2676-2012-12-03-11-47-41
Home / Uncategories / প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষক নির্দেশিকা স্ব স্ব মাতৃভাষায় প্রণয়ন করা হবে।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
0 comments:
Post a Comment