নিজস্ব প্রতিবেদক। মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬
একটি প্রতিবেদনে ‘বাঙালি দুষ্কৃতকারী’ হিসেবে উল্লেখ করার ঘটনায়
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুস
সামাদ। গতকাল তিনি আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ
বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে ডিসিকে অভিযোগ
থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এদিকে একই ধরনের শব্দ ব্যবহার করায় গাইবান্ধার
স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ সুপারকে (এসপি) তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী
২ জানুয়ারি তাকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে ডিসির পক্ষে আইনজীবী নূরুল ইসলাম সুজন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে
ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এর আগে ৬ ডিসেম্বর
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসককে তলব করে হাইকোর্ট। জানা গেছে, সাঁওতালদের ওপর
হামলার ঘটনায় ৩০ নভেম্বর গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে
একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে হামলার ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়,
‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য ও বাঙালি দুষ্কৃতকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়
নিয়োজিত পুলিশ সদস্যসহ মিল কর্তৃপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর
আহত করে। ’ ক্ষমা চেয়ে ডিসির করা আবেদনে জানানো হয়, স্পেশাল ব্রাঞ্চের
এসপির প্রতিবেদনের আলোকে ওই প্রতিবেদন করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত
স্পেশাল ব্রাঞ্চের এসপিকে তলব করে। এর আগে আসকসহ তিনটি সংগঠনের করা এক
রিটের শুনানি নিয়ে ১৭ নভেম্বর সাঁওতালদের ধান কাটার সুযোগ দিতে অথবা ধান
কেটে সাঁওতালদের বুঝিয়ে দিতে চিনিকল কর্তৃপক্ষসহ বিবাদীদের নির্দেশ দেয়
হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাঁওতালদের অবাধে চলাফেরার অধিকার নিশ্চিতে নির্দেশ
দেওয়া হয়। গত ১৬ নভেম্বর আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর
ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে
হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করা হয়।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
0 comments:
Post a Comment