ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট ভুয়া দাতা ও শনাক্তকারী উপস্থাপন করে জাল খারিজের মাধ্যমে জালিয়াতি করে সাবরেজিস্ট্র্রি অফিসে ভুয়া দানপত্র দলিল সৃষ্টি করে ৫ একর জমির জাল দলিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানায় ভুয়া গৃহিতা ও দলিল লেখকসহ ৯ জনকে আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জাল দলিল সৃষ্টিকারীর ২ জন মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে।
থানা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার কাশিয়াবাড়ী গ্রামের দিনাজপুর সদর কোতোয়ালি থানার গুঞ্জাবাড়ী এলাকায় বসবাসরত আদিবাসী মৃত, গাব্রিয়াল মিনজের মেয়ে শ্রীমতি উর্মিলা মিনজ। সে ১৯৯২ সালের ১৯ এপ্রিল ঘোড়াঘাট উপজেলার কুচেরপাড়া গ্রামের এসএ রেকর্ডিয় মালিক শ্রী ডেলকে টুডুর কাছ থেকে এবং ২০ মে ১৯৯৩ সালে যথাক্রমে ১০৩১ ও ১৩৪২নং দুটি কাবলা দলিল মূলে মোট ৫ একর সাড়ে ২৩ শতক জমি ক্রয় করেন। বাদিনী উর্মিলা মিনজ দিনাজপুর সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে নার্স হিসেবে চাকরি করায় তার ক্রয় করা জমাজমি ঘোড়াঘাট উপজেলার কুচেরপাড়ায় বাদিনীর ভাই বিমল গত ৩১ মার্চ তারিখে জমি চাষ করতে গেলে তার খালাত ভাই আবিরেরপাড়া (মিশনপাড়া) গ্রামের এডমন মিনজের ছেলে শ্রী পাউলুস মিনজ বাধা প্রদান করেন। পাউলুস জানায়, উর্মিলা সব সম্পত্তি তার নামে দানপত্র দলিল মূলে হস্তান্তর করেছেন। এ ঘটনা উর্মিলা মিনজকে তার ভাই জানালে ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। একপর্যায়ে দলিলের নকল সংগ্রহ করেন। তারা দেখতে পান দাতা হিসেবে উর্মিলা মিনজ তার খালাত ভাই পাউলুস মিনজের কাছে ৫ একর সাড়ে ২৩ শতক জমি হস্তান্তর হয়ে দলিল সম্পাদন করেছেন। যার দলিল লেখক উপজেলার চাটশাল বিলপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় উর্মিলা মিনজ বাদী হয়ে তারাজুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। পুলিশ ভুয়া গ্রহিতা পাউলুস ও মামলার অপর আসামি তারাজুলকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। তারাজুল জামিনে ছাড়া পেলেও আদালত পাউলুসের জামিন নামঞ্জুর করেন। গত ২৮ এপ্রিল দলিল লেখক নজরুল ইসলাম জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠায়।
ঘোড়াঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং জেলা জজের মাধ্যমে দলিলটি সিজ করা হবে। তিনি আরও জানান, এ মামলার পর পাউলুস ও তারাজুল মারিয়ামপুর মিশনের ফাদারকে হুমকি দিচ্ছে বলে ফাদার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন। ফাদার এ ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। অপরদিকে জাল দলিল করার পর তারাজুল ইসলাম পাউলুসের কাছ থেকে জমিগুলো পারমিশনের মাধ্যমে দলিল করে নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। পুলিশ জানায় মামলায় তারাজুল এবং পাউলুসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারাজুল জামিনে এসে ফের উর্মিলাকে হুমকি দিচ্ছে।
Source: http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/05/11/199515
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
0 comments:
Post a Comment