আপডেট: ০১:১০, মার্চ ০১, ২০১৫| প্রিন্ট সংস্করণ
| জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুসারে আদিবাসী শিশুদের জন্য মাতৃভাষাভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষার পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। পাঁচ বছরে সরকারিভাবে আদিবাসী ভাষায় একটি পাঠ্যপুস্তকও প্রণীত হয়নি। এ অবস্থার উন্নতি না ঘটিয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে গতকাল শনিবার ‘মাতৃভাষাভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষা বিস্তার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি)। সহযোগিতায় ছিল গণসাক্ষরতা অভিযান।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সৌরভ সিকদার ‘বাংলাদেশে আদিবাসী শিশুর জন্য বহুভাষিক শিক্ষা: বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক উপস্থাপনায় বলেন, বাংলাদেশে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ৯৭ শতাংশ শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। অন্যদিকে, আদিবাসী শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে গমনের হার মাত্র ৬৭ শতাংশ। কয়েক বছর ধরেই মনে হচ্ছে বছরের শুরুতে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা তাদের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক পাবে, কিন্তু তা হচ্ছে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে অস্বীকার করার প্রবণতা রয়েছে। আদিবাসীদের জন্য পৃথক কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। সংবিধান ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহকে যেসব অধিকার দিয়েছে, সেগুলো নিশ্চিত করার জন্য ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা অধিকার আইন’ নামে পৃথক আইন করা জরুরি।’
‘বাংলাদেশে বহুভাষিক শিক্ষা’ শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, বর্তমানে ১০২টি বেসরকারি সংগঠন মোট ৩ হাজার ৪৬৮টি বিদ্যালয়ে বহুভাষিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শফি আহমেদ বলেন, ‘আশা করি ২০১৬ সালে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক তাদের মাতৃভাষায় পাবে এবং শ্রেণিকক্ষে নিজ ভাষায় শিক্ষক পাবে।
সেমিনারে শফি আহমেদ ও রাশেদা কে চৌধুরীর সম্পাদিত ‘নিজ ভূমে পরবাসী: বাংলাদেশের আদিবাসী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে গতকাল শনিবার ‘মাতৃভাষাভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষা বিস্তার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি)। সহযোগিতায় ছিল গণসাক্ষরতা অভিযান।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সৌরভ সিকদার ‘বাংলাদেশে আদিবাসী শিশুর জন্য বহুভাষিক শিক্ষা: বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক উপস্থাপনায় বলেন, বাংলাদেশে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ৯৭ শতাংশ শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। অন্যদিকে, আদিবাসী শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে গমনের হার মাত্র ৬৭ শতাংশ। কয়েক বছর ধরেই মনে হচ্ছে বছরের শুরুতে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা তাদের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক পাবে, কিন্তু তা হচ্ছে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তাকে অস্বীকার করার প্রবণতা রয়েছে। আদিবাসীদের জন্য পৃথক কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। সংবিধান ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহকে যেসব অধিকার দিয়েছে, সেগুলো নিশ্চিত করার জন্য ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা অধিকার আইন’ নামে পৃথক আইন করা জরুরি।’
‘বাংলাদেশে বহুভাষিক শিক্ষা’ শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, বর্তমানে ১০২টি বেসরকারি সংগঠন মোট ৩ হাজার ৪৬৮টি বিদ্যালয়ে বহুভাষিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শফি আহমেদ বলেন, ‘আশা করি ২০১৬ সালে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক তাদের মাতৃভাষায় পাবে এবং শ্রেণিকক্ষে নিজ ভাষায় শিক্ষক পাবে।
সেমিনারে শফি আহমেদ ও রাশেদা কে চৌধুরীর সম্পাদিত ‘নিজ ভূমে পরবাসী: বাংলাদেশের আদিবাসী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
Source: http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/464416/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF
0 comments:
Post a Comment