[ সাঁওতালদের একটি ঘরে আগুন দেয় পুলিশ। আল জাজিরা টিভিতে প্রচারিত ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি। ]
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে পুলিশ। এরকম
একাধিক ছবি ও ভিডিওসহ একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন
চ্যানেল আল জাজিরা। গত ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার পুলিশের আগুনে পুড়েছিল গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে ইক্ষু কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতাল মারা যান। গুলিবিদ্ধ হন আরও চারজন। সাঁওতালদের ছোড়া তীরে আহত হন নয় পুলিশ। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে ইক্ষু খামারের জমি থেকে সাঁওতালদের বসতি উচ্ছেদ করে। এ সময় তাদের বসত-ঘরগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সদস্যরাই এসব বসতিতে আগুন দিয়েছিল বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ করে সাঁওতালরা। আল জাজিরায় প্রচারিত সংবাদ ও ভিডিওতে পুলিশ সদস্যদের সাঁওতালদের বাড়িঘরে আগুন লাগাতে দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, দাঙ্গা পুলিশের ২০-৩০ সদস্যের একটি দল রাস্তা ধরে সাঁওতালদের বসতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একপর্যায়ে কয়েকটি বাড়ির সামনে পুলিশ সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের সঙ্গে সাদা পোশাকধারী দুই পুলিশ সদস্যকেও দেখা গেছে। একজন সাদা পোশাকধারী পুলিশ আগুন লাগায়। তাকে পোশাকধারী এক দাঙ্গা পুলিশ সাহায্য করে। মুহূর্তেই দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সেখান থেকে আগুন নিয়ে সাঁওতালদের অন্যান্য ঘরেও তা দেওয়া হয়। ভিডিওতে একটা পর্যায়ে গোটা পল্লীতে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। আর পুলিশের সদস্যরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছে। তাদের সামনেই ঘরগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। হামলার পর থেকেই আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে শত শত সাঁওতাল পরিবার। ওই পরিবারগুলোর কেউ কেউ খামারের পাশে সাঁওতাল পল্লী মাদারপুর গির্জার সামনের মাঠে কলাগাছের পাতা দিয়ে ছোট্ট ছোট্ট কুঠরি বানিয়ে, আবার কেউ কেউ ত্রাণে পাওয়া তাঁবু টানিয়ে কোনো রকমে ঠাঁই নিয়ে আছেন। অনেকে থাকছেন পরিত্যক্ত স্কুলঘরে খড় বিছিয়ে।
http://www.bd-pratidin.com/first-page/2016/12/13/192076
0 comments:
Post a Comment