জানতে চাইলে আজ সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
মো. আবদুল হান্নান বলেন, ‘আমি কোনো বিষয়ে কথা বলতে পারব না। খুব
ব্যস্ত।’ এ বলেই ফোন কেটে দেন তিনি। আর গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত সরকার বললেন, ‘হামলা নিয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি
আমাদের কাছে। এমন ঘটনা জানা নেই।’
সাহেবগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমি নিয়ে এ বছর কয়েক দফা স্থানীয় সাঁওতালদের সঙ্গে ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চিনিকল কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা ১৯৬২ সালে আখ চাষের জন্য সাহেবগঞ্জ এলাকায় ১ হাজার ৮৪২ একর জমি অধিগ্রহণ করে। তখন থেকে এসব জমিতে উৎপাদিত আখ চিনিকলে সরবরাহ করা হচ্ছিল। কিন্তু দুই বছর আগে এসব জমি তাঁদের বাপ-দাদার দাবি করে আন্দোলনে নামেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজন। আন্দোলনের একপর্যায়ে তাঁরা গত ১ জুলাই প্রায় ১০০ একর জমি দখলে নিয়ে একচালা ঘর নির্মাণ করেন।
তবে সংহতি কমিটির সহসভাপতি ফিলিমন বাস্কে বলেন, চিনিকল কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণের সময় জমির মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে, কখনো জমিতে আখ ছাড়া অন্য কিছু চাষ হলে তা প্রকৃত মালিকদের জমি ফেরত দেওয়া হবে। কিছুদিন ধরে ওই সব জমিতে ধান ও তামাক চাষ হচ্ছে। অথচ জমি ফেরত দেওয়া হয়নি। সাঁওতালরা এসব জমির দখল নিয়েছেন।
জমি নিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ ও সাঁওতালদের এই বিরোধের মধ্যে রোববার চিনিকলের রোপণ করা আখবীজ হিসেবে সংগ্রহের জন্য কাটতে গেলে সাঁওতালরা বাধা দেন। এ সময় পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিরবিদ্ধ হয়েছেন নয়জন এবং গুলিবিদ্ধ হন চারজন। তিরবিদ্ধ ব্যক্তিদের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে গুলিবিদ্ধ সাঁওতালদের গ্রেপ্তারের ভয়ে রংপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে শ্যামল হেমব্রম দিনাজপুরে মারা যান। দুজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে।
এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক কল্যাণ চক্রবর্তী বাদী হয়ে রোববার রাতে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলা করেন। পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে এ মামলা করা হয়।
প্রতিবাদ: এদিকে মহিমাগঞ্জে গুলি করে এক সাঁওতালকে হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংহতি কমিটি। সমাবেশে সাঁওতাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সুবোধ এম বাস্কে বলেন, ‘আমরা বর্বরতার যুগে বাস করছি। সাঁওতালদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে।’ গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ বলেন, দেশের মানুষকে যেকোনো প্রান্তে যেকোনো দখলদারি, সাম্প্রদায়িকতা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লিগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার প্রমুখ।
সাহেবগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমি নিয়ে এ বছর কয়েক দফা স্থানীয় সাঁওতালদের সঙ্গে ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চিনিকল কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা ১৯৬২ সালে আখ চাষের জন্য সাহেবগঞ্জ এলাকায় ১ হাজার ৮৪২ একর জমি অধিগ্রহণ করে। তখন থেকে এসব জমিতে উৎপাদিত আখ চিনিকলে সরবরাহ করা হচ্ছিল। কিন্তু দুই বছর আগে এসব জমি তাঁদের বাপ-দাদার দাবি করে আন্দোলনে নামেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের লোকজন। আন্দোলনের একপর্যায়ে তাঁরা গত ১ জুলাই প্রায় ১০০ একর জমি দখলে নিয়ে একচালা ঘর নির্মাণ করেন।
তবে সংহতি কমিটির সহসভাপতি ফিলিমন বাস্কে বলেন, চিনিকল কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণের সময় জমির মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে, কখনো জমিতে আখ ছাড়া অন্য কিছু চাষ হলে তা প্রকৃত মালিকদের জমি ফেরত দেওয়া হবে। কিছুদিন ধরে ওই সব জমিতে ধান ও তামাক চাষ হচ্ছে। অথচ জমি ফেরত দেওয়া হয়নি। সাঁওতালরা এসব জমির দখল নিয়েছেন।
জমি নিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ ও সাঁওতালদের এই বিরোধের মধ্যে রোববার চিনিকলের রোপণ করা আখবীজ হিসেবে সংগ্রহের জন্য কাটতে গেলে সাঁওতালরা বাধা দেন। এ সময় পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিরবিদ্ধ হয়েছেন নয়জন এবং গুলিবিদ্ধ হন চারজন। তিরবিদ্ধ ব্যক্তিদের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে গুলিবিদ্ধ সাঁওতালদের গ্রেপ্তারের ভয়ে রংপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে শ্যামল হেমব্রম দিনাজপুরে মারা যান। দুজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে।
এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক কল্যাণ চক্রবর্তী বাদী হয়ে রোববার রাতে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলা করেন। পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে এ মামলা করা হয়।
প্রতিবাদ: এদিকে মহিমাগঞ্জে গুলি করে এক সাঁওতালকে হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংহতি কমিটি। সমাবেশে সাঁওতাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সুবোধ এম বাস্কে বলেন, ‘আমরা বর্বরতার যুগে বাস করছি। সাঁওতালদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে।’ গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ বলেন, দেশের মানুষকে যেকোনো প্রান্তে যেকোনো দখলদারি, সাম্প্রদায়িকতা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লিগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার প্রমুখ।
উৎস: http://m.prothom-alo.com/bangladesh/article/1016143/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%93%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7
0 comments:
Post a Comment