প্রায় সব চাকরিতেই
পেরোতে হয় নিয়োগ পরীক্ষার বাধা। কোন পরীক্ষার জন্য কোন বই পড়তে হবে,
জানা থাকলে প্রস্তুতিটা সহজ হয়। গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়োগ পরীক্ষার সহায়ক
বইয়ের খোঁজখবর জানাচ্ছেন আরাফাত শাহরিয়ার
স্বপ্ন যখন বিসিএস
২৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম রেজাউল করিম জানান, প্রিলিমিনারি
অবজেকটিভ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক
বিষয়াবলি), সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তি
বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। অনেক প্রকাশনা সংস্থা বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার
প্রস্তুতিমূলক বই প্রকাশ করে। বাজারে সেলফ অ্যাসেসমেন্ট, সেলফ কনফিডেন্স,
প্রফেসরস, ওরাকল, সিলেকট, জেনুইন, এমপিথ্রি, এক্সক্লুসিভ প্রভৃতি বিসিএস
প্রিলিমিনারি গাইড পাওয়া যায়। লিখিত পরীক্ষার জন্যও সহায়ক বই বের করে থাকে
এসব প্রকাশনী।
বাংলা বিষয়ের জন্য বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, লাল নীল বেগুনি এবং
বোর্ড প্রণীত নবম-দশম শ্রেণীর ব্যাকরণ সহায়ক হবে। এ ছাড়া ভাষা, সাহিত্য ও
ব্যাকরণের ওপর আরো অনেক বই পাওয়া যায়। মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তি
বিষয়ের জন্যও আলাদাভাবে বই পাওয়া যায়। এ বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য বোর্ড
প্রণীত সপ্তম, অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণীর গণিত বই বেশ সহায়ক। বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিষয়ের জন্য বোর্ড প্রণীত সপ্তম, অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণীর
সাধারণ বিজ্ঞান বই পড়লে কাজে দেবে। সাধারণ জ্ঞানের জন্য আজকের বিশ্ব পড়তে
পারেন। এ ছাড়া সমকালীন বিশ্ব, তথ্যকোষ, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, চলতি বিশ্ব,
নলেজ ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, চলমান বিশ্বসহ অনেক বই পাওয়া যায় বাজারে।
টার্গেট যদি ব্যাংক জব
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ব্যাংকভেদে পরীক্ষার ধরনে কিছুটা ভিন্নতা
থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই ধরনের হয়ে থাকে। এমসিকিউ পর্বে প্রশ্ন
করা হয় সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান, দৈনন্দিন বিজ্ঞান,
কম্পিউটার, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি ও পাজলস থেকে। আর লিখিত পরীক্ষায়
প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। অষ্টম থেকে
দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়লে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে। জাতীয়
দৈনিক পত্রিকার পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো
আন্তর্জাতিক পত্রিকা নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক নিউজভিত্তিক
মাসিক পত্রিকা যেমন- কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট নিউজ
প্রভৃতি পড়তে হবে। ওরাকল, প্রফেসরসসহ অনেক প্রকাশনী সরকারি ও বেসরকারি
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধানের বই বের করে। প্রফেসরস প্রকাশনের কি
টু ব্যাংক জব, বিসিএস প্রকাশনের এ টু জেড ব্যাংক জব, সাইফুরস ব্যাংক
রিক্রুটমেন্ট জব, মোজাম্মেল হোসেন খন্দকারের ব্যাংকিং কার্যক্রম ও
পর্যালোচনা, মুনীর তৌসিফের অর্থ ও বাণিজ্য শব্দকোষ কাজে আসবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
এনসিটিবি প্রণীত পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ের ওপর দখল থাকলে প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে ভালো করা
সম্ভব। সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ভালো করতে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি
দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত পড়তে হবে। সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক অনেক বই কিনতে পাওয়া
যায় বাজারে। এ ছাড়া বিগত সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংবলিত
প্রফেসরস, ওরাকল, পাঞ্জেরী, বিসিএস, গুরুগৃহ, কারেন্ট, বেসিক, ইন্টারনেট,
প্রিজমসহ অনেক বই পাওয়া যায়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক
নিয়োগ পরীক্ষায় এসব বই থেকে একটি বেছে নিতে পারেন।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা
বেসরকারি স্কুল ও কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে চাইলে এখন নিবন্ধন সনদ
লাগে। আবশ্যিক অংশে ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা, ইংরেজি,
গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে দখল থাকতে হবে। নিয়মিত পড়তে হবে
দৈনিক পত্রিকা। এ ছাড়া সাধারণ জ্ঞানবিষয়ক যেসব বই আছে, সেগুলো পড়তে হবে।
ওরাকল, প্রফেসরস, সিলেকট, বিসিএসসহ অনেক প্রকাশনী বেসরকারি শিক্ষক ও
প্রভাষক পদে নিবন্ধন পরীক্ষার সহায়ক বই প্রকাশ করেছে।
বেসরকারি স্কুলশিক্ষক ও প্রভাষক নিবন্ধন পরীক্ষার ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্যও আছে
সহায়ক বই। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির জন্য আলাদা বই প্রকাশ করেছে ওরাকল,
প্রফেসরস, সিলেকটসহ কিছু প্রকাশনী।
হতে চাইলে ন্যায়দণ্ডের কাণ্ডারি
সহকারী জজ নিয়োগ (বিজেএস) প্রাথমিক যাচাই পরীক্ষায় প্রশ্ন হয় কুইজ বা
এমসিকিউ পদ্ধতিতে। বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি,
প্রাথমিক গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, আইন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এরপর অংশ
নিতে হয় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায়।
বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ভালো করতে হলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য
বইয়ের ওপর দখল থাকতে হবে। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয় এবং দৈনন্দিন
বিজ্ঞান বিষয়ে ভালো করতে হলে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি পড়তে হবে পত্র-পত্রিকা।
আইন বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য সম্মান শ্রেণীর সিলেবাসের আলোকে প্রণীত
তাত্ত্বিক বইগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে।
বিগত বছরের পরীক্ষার প্রশ্ন সংবলিত জেনুইন এবং বিজেএসসহ বেশ কিছু বই পাওয়া
যায় বাজারে, যা পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কাজে আসে।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সহায়ক বই-প্রফেসরস প্রকাশনের সহকারী জজ, বিসিএস
প্রকাশনের সহকারী জজ নিয়োগ প্রিলিমিনারি, সহকারী জজ (আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক
আইন) ইত্যাদি।
নিয়োগ পেতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরে
খাদ্য অধিদপ্তরে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রফেসরস প্রকাশনের খাদ্য অধিদপ্তর
নিয়োগ, বিসিএস প্রকাশনের খাদ্য অধিদপ্তরে নিয়োগ গাইড, কারেন্ট
পাবলিকেশন্সের কারেন্ট খাদ্য অধিদপ্তর নিয়োগ স্পেশাল পড়তে পারেন।
হতে চান স্বাস্থ্যকর্মী?
স্বাস্থ্য সহকারী পদে প্রায়ই নিয়োগ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রণালয় কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকগুলোতে হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার পদেও
নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন
প্রায় একই রকম।
বোর্ড প্রকাশিত বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্য বই প্রস্তুতিতে সহায়ক। লিখিত
পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন
বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার, স্বাস্থ্যতথ্য প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন
করা হয়।
এই পরীক্ষায় ভালো করতে এনসিটিবি প্রণীত ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য
বইগুলোর ওপর ভালো দখল রাখতে হবে। বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ
বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বইগুলোর ওপর পূর্ণ দখল রাখতে হবে। এ ছাড়া দৈনিক
পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। সাধারণ জ্ঞান ও সাম্প্রতিক সময়ের
উল্লেখযোগ্য ঘটনাবিষয়ক তথ্যমূলক বাজারে যেসব বই পাওয়া যায় সেগুলোও পড়তে
পারেন।
এসব পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে অনেক প্রকাশনীর সহায়ক বই পাওয়া যায়।
প্রফেসরস প্রকাশনের স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ, বিসিএস প্রকাশনের স্বাস্থ্য
সহকারী নিয়োগ গাইড, কারেন্ট স্বাস্থ্য সহকারী ভাইভা সহায়িকা, কারেন্ট
স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ স্পেশাল থেকে যেকোনো একটি বই বেছে নিতে পারেন।
বইগুলো ক্যারিয়ার নিয়ে
নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াও নিজের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে আরাফাত শাহরিয়ারের
‘চাকরিই আপনাকে খুঁজবে’। লেখকের ‘নিজেই গড়ুন নিজের ক্যারিয়ার’ বইটিও কাজে
আসবে। বই দুটি প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য। এ ছাড়া সজীব সাহার ‘চাকরি পাওয়ার কৌশল
সাফল্যের ১০১ টিপস’, রাজিব আহমেদের ‘চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতির কৌশল’, মনিরুল
ইসলামের ‘ক্যারিয়ার গাইড ও জীবিকা সন্ধান’, রাজিব আহমেদের ‘চাকরি পাওয়ার
কৌশল ও প্রস্তুতি’ বইও কাজে দেবে।
বিস্তারিত পড়ুন: http://infopedia.com.bd/career/book-for-examination/1646
বিস্তারিত পড়ুন: http://infopedia.com.bd/career/book-for-examination/1646
বইগুলো ক্যারিয়ার নিয়ে
নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াও নিজের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে আরাফাত শাহরিয়ারের
‘চাকরিই আপনাকে খুঁজবে’। লেখকের ‘নিজেই গড়ুন নিজের ক্যারিয়ার’ বইটিও কাজে
আসবে। বই দুটি প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য। এ ছাড়া সজীব সাহার ‘চাকরি পাওয়ার কৌশল
সাফল্যের ১০১ টিপস’, রাজিব আহমেদের ‘চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতির কৌশল’, মনিরুল
ইসলামের ‘ক্যারিয়ার গাইড ও জীবিকা সন্ধান’, রাজিব আহমেদের ‘চাকরি পাওয়ার
কৌশল ও প্রস্তুতি’ বইও কাজে দেবে।
বিস্তারিত পড়ুন: http://infopedia.com.bd/career/book-for-examination/1646
বিস্তারিত পড়ুন: http://infopedia.com.bd/career/book-for-examination/1646
প্রায় সব চাকরিতেই
পেরোতে হয় নিয়োগ পরীক্ষার বাধা। কোন পরীক্ষার জন্য কোন বই পড়তে হবে,
জানা থাকলে প্রস্তুতিটা সহজ হয়। গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়োগ পরীক্ষার সহায়ক
বইয়ের খোঁজখবর জানাচ্ছেন আরাফাত শাহরিয়ার
স্বপ্ন যখন বিসিএস
২৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম রেজাউল করিম জানান, প্রিলিমিনারি
অবজেকটিভ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক
বিষয়াবলি), সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তি
বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। অনেক প্রকাশনা সংস্থা বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার
প্রস্তুতিমূলক বই প্রকাশ করে। বাজারে সেলফ অ্যাসেসমেন্ট, সেলফ কনফিডেন্স,
প্রফেসরস, ওরাকল, সিলেকট, জেনুইন, এমপিথ্রি, এক্সক্লুসিভ প্রভৃতি বিসিএস
প্রিলিমিনারি গাইড পাওয়া যায়। লিখিত পরীক্ষার জন্যও সহায়ক বই বের করে থাকে
এসব প্রকাশনী।
বাংলা বিষয়ের জন্য বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, লাল নীল বেগুনি এবং
বোর্ড প্রণীত নবম-দশম শ্রেণীর ব্যাকরণ সহায়ক হবে। এ ছাড়া ভাষা, সাহিত্য ও
ব্যাকরণের ওপর আরো অনেক বই পাওয়া যায়। মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তি
বিষয়ের জন্যও আলাদাভাবে বই পাওয়া যায়। এ বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য বোর্ড
প্রণীত সপ্তম, অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণীর গণিত বই বেশ সহায়ক। বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিষয়ের জন্য বোর্ড প্রণীত সপ্তম, অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণীর
সাধারণ বিজ্ঞান বই পড়লে কাজে দেবে। সাধারণ জ্ঞানের জন্য আজকের বিশ্ব পড়তে
পারেন। এ ছাড়া সমকালীন বিশ্ব, তথ্যকোষ, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, চলতি বিশ্ব,
নলেজ ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, চলমান বিশ্বসহ অনেক বই পাওয়া যায় বাজারে।
টার্গেট যদি ব্যাংক জব
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ব্যাংকভেদে পরীক্ষার ধরনে কিছুটা ভিন্নতা
থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই ধরনের হয়ে থাকে। এমসিকিউ পর্বে প্রশ্ন
করা হয় সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান, দৈনন্দিন বিজ্ঞান,
কম্পিউটার, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি ও পাজলস থেকে। আর লিখিত পরীক্ষায়
প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। অষ্টম থেকে
দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়লে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে। জাতীয়
দৈনিক পত্রিকার পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো
আন্তর্জাতিক পত্রিকা নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক নিউজভিত্তিক
মাসিক পত্রিকা যেমন- কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট নিউজ
প্রভৃতি পড়তে হবে। ওরাকল, প্রফেসরসসহ অনেক প্রকাশনী সরকারি ও বেসরকারি
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধানের বই বের করে। প্রফেসরস প্রকাশনের কি
টু ব্যাংক জব, বিসিএস প্রকাশনের এ টু জেড ব্যাংক জব, সাইফুরস ব্যাংক
রিক্রুটমেন্ট জব, মোজাম্মেল হোসেন খন্দকারের ব্যাংকিং কার্যক্রম ও
পর্যালোচনা, মুনীর তৌসিফের অর্থ ও বাণিজ্য শব্দকোষ কাজে আসবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
এনসিটিবি প্রণীত পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ের ওপর দখল থাকলে প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে ভালো করা
সম্ভব। সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ভালো করতে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি
দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত পড়তে হবে। সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক অনেক বই কিনতে পাওয়া
যায় বাজারে। এ ছাড়া বিগত সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংবলিত
প্রফেসরস, ওরাকল, পাঞ্জেরী, বিসিএস, গুরুগৃহ, কারেন্ট, বেসিক, ইন্টারনেট,
প্রিজমসহ অনেক বই পাওয়া যায়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক
নিয়োগ পরীক্ষায় এসব বই থেকে একটি বেছে নিতে পারেন।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা
বেসরকারি স্কুল ও কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে চাইলে এখন নিবন্ধন সনদ
লাগে। আবশ্যিক অংশে ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা, ইংরেজি,
গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে দখল থাকতে হবে। নিয়মিত পড়তে হবে
দৈনিক পত্রিকা। এ ছাড়া সাধারণ জ্ঞানবিষয়ক যেসব বই আছে, সেগুলো পড়তে হবে।
ওরাকল, প্রফেসরস, সিলেকট, বিসিএসসহ অনেক প্রকাশনী বেসরকারি শিক্ষক ও
প্রভাষক পদে নিবন্ধন পরীক্ষার সহায়ক বই প্রকাশ করেছে।
বেসরকারি স্কুলশিক্ষক ও প্রভাষক নিবন্ধন পরীক্ষার ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্যও আছে
সহায়ক বই। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির জন্য আলাদা বই প্রকাশ করেছে ওরাকল,
প্রফেসরস, সিলেকটসহ কিছু প্রকাশনী।
হতে চাইলে ন্যায়দণ্ডের কাণ্ডারি
সহকারী জজ নিয়োগ (বিজেএস) প্রাথমিক যাচাই পরীক্ষায় প্রশ্ন হয় কুইজ বা
এমসিকিউ পদ্ধতিতে। বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি,
প্রাথমিক গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, আইন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এরপর অংশ
নিতে হয় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায়।
বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ভালো করতে হলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য
বইয়ের ওপর দখল থাকতে হবে। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয় এবং দৈনন্দিন
বিজ্ঞান বিষয়ে ভালো করতে হলে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি পড়তে হবে পত্র-পত্রিকা।
আইন বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য সম্মান শ্রেণীর সিলেবাসের আলোকে প্রণীত
তাত্ত্বিক বইগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে।
বিগত বছরের পরীক্ষার প্রশ্ন সংবলিত জেনুইন এবং বিজেএসসহ বেশ কিছু বই পাওয়া
যায় বাজারে, যা পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কাজে আসে।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সহায়ক বই-প্রফেসরস প্রকাশনের সহকারী জজ, বিসিএস
প্রকাশনের সহকারী জজ নিয়োগ প্রিলিমিনারি, সহকারী জজ (আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক
আইন) ইত্যাদি।
নিয়োগ পেতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরে
খাদ্য অধিদপ্তরে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রফেসরস প্রকাশনের খাদ্য অধিদপ্তর
নিয়োগ, বিসিএস প্রকাশনের খাদ্য অধিদপ্তরে নিয়োগ গাইড, কারেন্ট
পাবলিকেশন্সের কারেন্ট খাদ্য অধিদপ্তর নিয়োগ স্পেশাল পড়তে পারেন।
হতে চান স্বাস্থ্যকর্মী?
স্বাস্থ্য সহকারী পদে প্রায়ই নিয়োগ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রণালয় কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকগুলোতে হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার পদেও
নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন
প্রায় একই রকম।
বোর্ড প্রকাশিত বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্য বই প্রস্তুতিতে সহায়ক। লিখিত
পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন
বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার, স্বাস্থ্যতথ্য প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন
করা হয়।
এই পরীক্ষায় ভালো করতে এনসিটিবি প্রণীত ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য
বইগুলোর ওপর ভালো দখল রাখতে হবে। বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ
বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বইগুলোর ওপর পূর্ণ দখল রাখতে হবে। এ ছাড়া দৈনিক
পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। সাধারণ জ্ঞান ও সাম্প্রতিক সময়ের
উল্লেখযোগ্য ঘটনাবিষয়ক তথ্যমূলক বাজারে যেসব বই পাওয়া যায় সেগুলোও পড়তে
পারেন।
এসব পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে অনেক প্রকাশনীর সহায়ক বই পাওয়া যায়।
প্রফেসরস প্রকাশনের স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ, বিসিএস প্রকাশনের স্বাস্থ্য
সহকারী নিয়োগ গাইড, কারেন্ট স্বাস্থ্য সহকারী ভাইভা সহায়িকা, কারেন্ট
স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ স্পেশাল থেকে যেকোনো একটি বই বেছে নিতে পারেন।
বইগুলো ক্যারিয়ার নিয়ে
নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াও নিজের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে আরাফাত শাহরিয়ারের
‘চাকরিই আপনাকে খুঁজবে’। লেখকের ‘নিজেই গড়ুন নিজের ক্যারিয়ার’ বইটিও কাজে
আসবে। বই দুটি প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য। এ ছাড়া সজীব সাহার ‘চাকরি পাওয়ার কৌশল
সাফল্যের ১০১ টিপস’, রাজিব আহমেদের ‘চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতির কৌশল’, মনিরুল
ইসলামের ‘ক্যারিয়ার গাইড ও জীবিকা সন্ধান’, রাজিব আহমেদের ‘চাকরি পাওয়ার
কৌশল ও প্রস্তুতি’ বইও কাজে দেবে।
বিস্তারিত পড়ুন: http://infopedia.com.bd/career/book-for-examination/1646
বিস্তারিত পড়ুন: http://infopedia.com.bd/career/book-for-examination/1646
সিভি বা জীবন বিত্তান্ত তৈরি নিয়ে একাধিক
প্রচলিত ধারণা রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি যেমন সঠিক, কিছু প্রচলিত ধারণা আবার
ভুল। জেনে নিন কীভাবে সিভি তৈরি করলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার
বাজারে এগিয়ে থাকবেন আপনি। চাকরি পাওয়ার দৌড়ে সঠিক সিভি আপনাকে এগিয়ে দিতে
পারে। সঠিক সিভি তৈরির ১২টি টিপস তুলে ধরা হলো-
১. নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে সিভি-তে কখনই
মিথ্যে কিছু লিখবেন না। আপনার যা যোগ্যতা, সেটাই যদি সিভি-তে লেখা থাকে,
তাহলে অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে ইন্টারভিউ দিতে পারবেন।
২. চেষ্টা করুন এক পাতার সিভি তৈরি করার। এমন ফরম্যাট বাছুন, যাতে আপনার সমস্ত বিষয় কম কথায়, পরিচ্ছন্নভাবে তুলে ধরা যায়।
৩. বর্তমানে যেখানে কাজ করছেন, অভিজ্ঞতার তালিকায় সেটাই প্রথমে লিখুন।
৪. চাকরির বিজ্ঞপ্তি বা বিজ্ঞাপনটি ভাল
করে পড়ে নিন। যে ধরনের চাকরির আবেদন করছেন, সেই অনুযায়ী আপনার সিভি সাজান।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপনার কী দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেগুলো ভালভাবে
সিভি-তে তুলে ধরার উপরে জোর দিন।
৫. কোনো একটি শব্দ বা শব্দবন্ধের
পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলুন। কী ধরনের দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা আছে তা
ব্যাখ্যা করার জন্য ইংরেজিতে ‘ম্যানেজড’ অথবা ‘ডেভেলপড’ দিয়ে বাক্য শুরু
করতে পারেন।
৬. আপনার সিভি পছন্দ হলে তবেই আপনার সঙ্গে
যোগাযোগের প্রশ্ন। ফলে সিভি-এর একদম উপরে নিজের কন্ট্যাক্ট ডিটেলস না দিয়ে
সিভি-এর নীচে দিন।
৭. যারা ফ্রেশার, তারা সিভি-এর একদম
শুরুতে নিজেদের লক্ষ্যের কথা লিখতে পারেন। আর যাদের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে,
তারা সিভি-এর শুরুতে নিজেদের পেশাদারি অভিজ্ঞতার একটি নির্যাস চিত্র তুলে
ধরতে পারেন।
৮. বিশদে অপ্রয়োজনীয় জিনিস লিখে সিভি
লম্বা করবেন না। মনে রাখবেন, যেখানে চাকরির আবেদন করছেন, সেখানে আরো প্রচুর
সিভি জমা পড়বে। ফলে, আপনার সিভিটি নিয়োগকারীর বিরক্তির কারণ না হয়ে
দাঁড়ায়, সেটা মাথায় রাখুন। ছোট ছোট পয়েন্টে নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতাগুলো
লিখুন।
৯. অনলাইনে সিভি পাঠালে বা কোথাও সিভির
সফট কপি পাঠালে আপনার লিংকডইন প্রোফাইল, ব্লগ অথবা যে চাকরির জন্য কোনো
আবেদন করছেন, সেই সংক্রান্ত কোনও প্রজেক্ট বা প্রেজেন্টেশন আপনার করা থাকলে
তার লিংক সিভি-তে দিয়ে দিতে পারেন। যেখানে চাকরির আবেদন করছেন, তারা
প্রয়োজনে সেগুলো দেখে আপনার পেশাদারি দক্ষতা এবং আপনার সম্পর্কে কিছুটা
ধারণা পেয়ে যাবেন।
১০. অনেকেই যে পেশার জন্য আবেদন করছেন,
তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজের ব্যক্তিগত শখ বা পছন্দের কথা সিভি-তে
লেখেন। এক্ষেত্রে সত্যিই আপনার শখ এবং যে পেশার চাকরির জন্য আবেদন করছেন,
তার মধ্যে মিল থাকলে ভাল, না হলেও ক্ষতি নেই। আপনার সত্যি যা করতে ভাল লাগে
সেটাই লিখুন। তাতে আপনার চরিত্রের অন্য একটি দিক উঠে আসতে পারে।
১১. যদি হার্ড কপি কোথাও পাঠান, তাহলে খেয়াল রাখুন যে কাগজে সিভি প্রিন্ট করে পাঠাচ্ছেন, সেটি একটু ভাল মানের হয়।
১২. আপনার সিভি-তে যাতে কোনো ব্যাকরণগত ভুল না থাকে, সেই বিষয়ে অবশ্যই সচেতন থাকুন।
প্রায় সব চাকরিতেই
পেরোতে হয় নিয়োগ পরীক্ষার বাধা। কোন পরীক্ষার জন্য কোন বই পড়তে হবে,
জানা থাকলে প্রস্তুতিটা সহজ হয়। গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়োগ পরীক্ষার সহায়ক
বইয়ের খোঁজখবর জানাচ্ছেন আরাফাত শাহরিয়ার
স্বপ্ন যখন বিসিএস
২৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম রেজাউল করিম জানান, প্রিলিমিনারি
অবজেকটিভ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক
বিষয়াবলি), সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তি
বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। অনেক প্রকাশনা সংস্থা বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার
প্রস্তুতিমূলক বই প্রকাশ করে। বাজারে সেলফ অ্যাসেসমেন্ট, সেলফ কনফিডেন্স,
প্রফেসরস, ওরাকল, সিলেকট, জেনুইন, এমপিথ্রি, এক্সক্লুসিভ প্রভৃতি বিসিএস
প্রিলিমিনারি গাইড পাওয়া যায়। লিখিত পরীক্ষার জন্যও সহায়ক বই বের করে থাকে
এসব প্রকাশনী।
বাংলা বিষয়ের জন্য বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, লাল নীল বেগুনি এবং
বোর্ড প্রণীত নবম-দশম শ্রেণীর ব্যাকরণ সহায়ক হবে। এ ছাড়া ভাষা, সাহিত্য ও
ব্যাকরণের ওপর আরো অনেক বই পাওয়া যায়। মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তি
বিষয়ের জন্যও আলাদাভাবে বই পাওয়া যায়। এ বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য বোর্ড
প্রণীত সপ্তম, অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণীর গণিত বই বেশ সহায়ক। বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিষয়ের জন্য বোর্ড প্রণীত সপ্তম, অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণীর
সাধারণ বিজ্ঞান বই পড়লে কাজে দেবে। সাধারণ জ্ঞানের জন্য আজকের বিশ্ব পড়তে
পারেন। এ ছাড়া সমকালীন বিশ্ব, তথ্যকোষ, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, চলতি বিশ্ব,
নলেজ ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, চলমান বিশ্বসহ অনেক বই পাওয়া যায় বাজারে।
টার্গেট যদি ব্যাংক জব
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ব্যাংকভেদে পরীক্ষার ধরনে কিছুটা ভিন্নতা
থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই ধরনের হয়ে থাকে। এমসিকিউ পর্বে প্রশ্ন
করা হয় সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান, দৈনন্দিন বিজ্ঞান,
কম্পিউটার, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি ও পাজলস থেকে। আর লিখিত পরীক্ষায়
প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি থেকে। অষ্টম থেকে
দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়লে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে। জাতীয়
দৈনিক পত্রিকার পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো
আন্তর্জাতিক পত্রিকা নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক নিউজভিত্তিক
মাসিক পত্রিকা যেমন- কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট নিউজ
প্রভৃতি পড়তে হবে। ওরাকল, প্রফেসরসসহ অনেক প্রকাশনী সরকারি ও বেসরকারি
ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধানের বই বের করে। প্রফেসরস প্রকাশনের কি
টু ব্যাংক জব, বিসিএস প্রকাশনের এ টু জেড ব্যাংক জব, সাইফুরস ব্যাংক
রিক্রুটমেন্ট জব, মোজাম্মেল হোসেন খন্দকারের ব্যাংকিং কার্যক্রম ও
পর্যালোচনা, মুনীর তৌসিফের অর্থ ও বাণিজ্য শব্দকোষ কাজে আসবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা
এনসিটিবি প্রণীত পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ের ওপর দখল থাকলে প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে ভালো করা
সম্ভব। সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ভালো করতে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি
দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত পড়তে হবে। সাধারণ জ্ঞান বিষয়ক অনেক বই কিনতে পাওয়া
যায় বাজারে। এ ছাড়া বিগত সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংবলিত
প্রফেসরস, ওরাকল, পাঞ্জেরী, বিসিএস, গুরুগৃহ, কারেন্ট, বেসিক, ইন্টারনেট,
প্রিজমসহ অনেক বই পাওয়া যায়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক
নিয়োগ পরীক্ষায় এসব বই থেকে একটি বেছে নিতে পারেন।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা
বেসরকারি স্কুল ও কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে চাইলে এখন নিবন্ধন সনদ
লাগে। আবশ্যিক অংশে ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা, ইংরেজি,
গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে দখল থাকতে হবে। নিয়মিত পড়তে হবে
দৈনিক পত্রিকা। এ ছাড়া সাধারণ জ্ঞানবিষয়ক যেসব বই আছে, সেগুলো পড়তে হবে।
ওরাকল, প্রফেসরস, সিলেকট, বিসিএসসহ অনেক প্রকাশনী বেসরকারি শিক্ষক ও
প্রভাষক পদে নিবন্ধন পরীক্ষার সহায়ক বই প্রকাশ করেছে।
বেসরকারি স্কুলশিক্ষক ও প্রভাষক নিবন্ধন পরীক্ষার ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্যও আছে
সহায়ক বই। বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির জন্য আলাদা বই প্রকাশ করেছে ওরাকল,
প্রফেসরস, সিলেকটসহ কিছু প্রকাশনী।
হতে চাইলে ন্যায়দণ্ডের কাণ্ডারি
সহকারী জজ নিয়োগ (বিজেএস) প্রাথমিক যাচাই পরীক্ষায় প্রশ্ন হয় কুইজ বা
এমসিকিউ পদ্ধতিতে। বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি,
প্রাথমিক গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, আইন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। এরপর অংশ
নিতে হয় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায়।
বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ভালো করতে হলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য
বইয়ের ওপর দখল থাকতে হবে। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয় এবং দৈনন্দিন
বিজ্ঞান বিষয়ে ভালো করতে হলে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি পড়তে হবে পত্র-পত্রিকা।
আইন বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য সম্মান শ্রেণীর সিলেবাসের আলোকে প্রণীত
তাত্ত্বিক বইগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে।
বিগত বছরের পরীক্ষার প্রশ্ন সংবলিত জেনুইন এবং বিজেএসসহ বেশ কিছু বই পাওয়া
যায় বাজারে, যা পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কাজে আসে।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সহায়ক বই-প্রফেসরস প্রকাশনের সহকারী জজ, বিসিএস
প্রকাশনের সহকারী জজ নিয়োগ প্রিলিমিনারি, সহকারী জজ (আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক
আইন) ইত্যাদি।
নিয়োগ পেতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরে
খাদ্য অধিদপ্তরে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রফেসরস প্রকাশনের খাদ্য অধিদপ্তর
নিয়োগ, বিসিএস প্রকাশনের খাদ্য অধিদপ্তরে নিয়োগ গাইড, কারেন্ট
পাবলিকেশন্সের কারেন্ট খাদ্য অধিদপ্তর নিয়োগ স্পেশাল পড়তে পারেন।
হতে চান স্বাস্থ্যকর্মী?
স্বাস্থ্য সহকারী পদে প্রায়ই নিয়োগ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রণালয় কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকগুলোতে হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার পদেও
নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন
প্রায় একই রকম।
বোর্ড প্রকাশিত বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্য বই প্রস্তুতিতে সহায়ক। লিখিত
পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন
বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার, স্বাস্থ্যতথ্য প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন
করা হয়।
এই পরীক্ষায় ভালো করতে এনসিটিবি প্রণীত ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য
বইগুলোর ওপর ভালো দখল রাখতে হবে। বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ
বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বইগুলোর ওপর পূর্ণ দখল রাখতে হবে। এ ছাড়া দৈনিক
পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। সাধারণ জ্ঞান ও সাম্প্রতিক সময়ের
উল্লেখযোগ্য ঘটনাবিষয়ক তথ্যমূলক বাজারে যেসব বই পাওয়া যায় সেগুলোও পড়তে
পারেন।
এসব পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাজারে অনেক প্রকাশনীর সহায়ক বই পাওয়া যায়।
প্রফেসরস প্রকাশনের স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ, বিসিএস প্রকাশনের স্বাস্থ্য
সহকারী নিয়োগ গাইড, কারেন্ট স্বাস্থ্য সহকারী ভাইভা সহায়িকা, কারেন্ট
স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ স্পেশাল থেকে যেকোনো একটি বই বেছে নিতে পারেন।
বইগুলো ক্যারিয়ার নিয়ে
নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াও নিজের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে আরাফাত শাহরিয়ারের
‘চাকরিই আপনাকে খুঁজবে’। লেখকের ‘নিজেই গড়ুন নিজের ক্যারিয়ার’ বইটিও কাজে
আসবে। বই দুটি প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য। এ ছাড়া সজীব সাহার ‘চাকরি পাওয়ার কৌশল
সাফল্যের ১০১ টিপস’, রাজিব আহমেদের ‘চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতির কৌশল’, মনিরুল
ইসলামের ‘ক্যারিয়ার গাইড ও জীবিকা সন্ধান’, রাজিব আহমেদের ‘চাকরি পাওয়ার
কৌশল ও প্রস্তুতি’ বইও কাজে দেবে।
বিস্তারিত পড়ুন: http://infopedia.com.bd/career/book-for-examination/1646
বিস্তারিত পড়ুন: http://infopedia.com.bd/career/book-for-examination/1646
0 comments:
Post a Comment