Place for Advertisement

Please Contact: spbjouralbd@gmail.com

পুনর্বাসন নয়, বাপ-দাদার জমিতেই বসতি চান সাঁওতালরা


প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর, ২০১৭ ০১:৪৬ অপরাহ্ন
জাহিদ খন্দকার, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে নির্মম হামলার এক বছর পরেও নিরাপত্তার শঙ্কা কাটেনি। আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা হলেও  কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। বরং পাল্টা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন তারা সাঁওতালরা।
এদিকে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের সাপমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে সোমবার সকাল থেকে সাঁওতাল হত্যা দিবস উদযাপন হচ্ছে। অনুষ্ঠানটি ঘিরে র‌্যাব-পুলিশি ও পিবিআইয়ের সদস্যরা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা করেছে।
গত বছরের এই দিনে পুলিশের গুলিতে তিনজন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অন্ততপক্ষে ২০ জন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, রংপুর চিনিকলের অধীনস্থ সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমি থেকে বিতাড়িত সাঁওতাল-বাঙ্গালীরা ভাল নেই। তারা বাব-দাদার জমি ফিরিয়ে পাওয়ার দাবি থেকেই সরেনি।
মাদারপুর গ্রামের বাসিন্দা জোসনা মুরমু জানান, তারা পুনর্বাসন চাননা, বাব-দাদার জমি ফিরিয়ে পাওয়ার দাবি জানান। একই গ্রামের বাসিন্দা হাসনা বানু জানান, গত বছরের ৬ নভেম্বর থেকে জয়পুর ও মাদারপুর গ্রামে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
সাঁওতালদের পক্ষে মামলার বাদি থোমাস হেমরম বলেন, গত বছরের ৬ নভেম্বর সাহেবগঞ্জ চিনিকলের জায়গায় গড়ে তোলা সাঁওতাল-বাঙ্গালীর পাঁচশতাধিক ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে দেওয়া হয়। তাদের ঘরবাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র, গরু, ছাগল ও চালাঘরের ঢেউটিন লুঠ করা হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে শ্যামল হেমরম, মঙ্গল টুডু ও রোমেশ টুডু নামে তিনজন সাঁওতাল নিহত হন। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। কিন্তু গত এক বছরে এর মধ্যে মাত্র ১জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। অন্যান্য আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছেনা।
এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে সাঁওতালদের লুন্ঠিত ঢেউটিন উদ্ধারসহ ১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, সাঁওতালদের পুনর্বাসনের জন্য কাটাখালী নদীর তীরে আশ্রায়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদের পুনর্বাসিত করা হবে।
Share on Google Plus

About Santali Pạrsi

1 comments: