Place for Advertisement

Please Contact: spbjouralbd@gmail.com

আদিবাসীদের ভাষা সমস্যা

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
আমাদের দেশের আদিবাসীদের দু'ভাগে ভাগ করা যায়_ সমতলের আদিবাসী ও পার্বত্য এলাকার আদিবাসী। এদের সংখ্যা কেউ বলে ৪০, আবার কেউ বলে ৭০।
আদিবাসী ভাষার অনেকের বর্ণমালা রয়েছে, অনেকের নেই। কয়েক বছর আগে আমাকে এক সাঁওতাল মহিলা বলেছিলেন, বাংলা হরফে সাঁওতালি ভাষার মাধুর্য হারিয়ে যায়। সেই কথাটা আমার মনে বহুদিন ধরে পাক দেয়। সেই কথা ভেবে নিচের কবিতাটি লিখি_


হরফের জন্য প্রার্থনা

আমাদের ভাষার নাকি হরফ ছিল।
গ-ারের চামড়ায় লেখা ছিল সেই হরফ।
কর্তাবাবু কলকাতার জাদুঘরে তা জমা দিয়েছিলেন
তারপর তার আর কোনো হদিস নেই।
আমাদের নাকি হরফ ছিল
একটা ছাগল সেই হরফ খেয়ে ফেলেছিল
ছাগল বলি দিলে তার অ-কোষের
শিরা উপশিরায়
সেই হরফের রেখ দেখা যায়।
আমাদের নাকি এক হরফ ছিল।
এক গোরম্ন সেই হরফ খেয়ে ফেলেছিল।
এখনো সেজন্য আমরা গো বলি দিই।
আর মরার আগে গোরম্নর জিহ্বা
খুঁটিতে টাঙ্গিয়ে রাখি।
এখন আমাদের নিজেদের কোনো হরফ নেই।
বিলেতি সাহেবদের রোমান হরফ
দেশি সাহেবদের বাংলা হরফ
শুধুই ঘোল_
আমাদের ভাষার দুধের স্বাদ মেটায় না।
আমাদের জবানের ছিরি ছাঁদ
আমাদের মূর্দ্ধ, ওষ্ঠ কণ্ঠ_
জিহ্বার অধিষ্ঠান তালু-টাকরা মিলিয়ে
ছেনি কেটে হরফ বানাবে
সে কোন
চার্লস উইলকিন্স,
পঞ্চানন কর্মকার!

পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সব আদিবাসী বাস করে তাদের সামাজিক রীতি-নীতি, সংস্কৃতি, আচার-আচরণে মিল থাকলেও ভাষা এক নয়। চাকমা ও তঞ্চঙ্গা আদিবাসীরা মঙ্গোলীয় হলেও তাদের ভাষা ইন্দো-আর্য গোষ্ঠীর বাংলা ভাষার মতো একই ভাষার পরিবারভুক্ত। মারমাদের ভাষা তিব্বতী-বর্মন গোষ্ঠীর বর্মন-আরাকান দলভুক্ত, ত্রিপুরাদের ভাষা তিব্বতী-বর্মা গোষ্ঠীর ককবরক দলভুক্ত। লুসাই, পাংখোয়া, বম, খিয়াং, ম্রো, চাক এসব আদিবাসীর ভাষা তিব্বতী-বর্মন কুকি-চিন দলভুক্ত। চাকমা এবং তঞ্চঙ্গা আদিবাসীরা যে বর্ণমালা ব্যবহার করে তার নাম 'চাঙমা বা চাকমা'। মারমা আদিবাসীরা 'মারমা' বর্ণমালা ব্যবহার করে। ম্রো ও খুমী 'ম্রো চাহ চা' বর্ণমালা ব্যবহার করে। আবার ম্রো ও খুমী যারা খ্রিস্টান ধর্মানুসারী তারা রোমান বর্ণ ব্যবহার করে থাকে। বম, লুসাই ও পাংখো শিৰিত ব্যক্তিরা অনেকে রোমান হরফে চিঠিপত্র লিখে থাকে।

বাংলাদেশ ও ভারতে সাঁওতাল গোষ্ঠীর তিন রকম হরফের সঙ্গে বোঝাবুঝি করতে হয়_ রোমান, অলচিকি ও বাংলা। চাকমা ভাষার বর্ণমালা থাইল্যান্ডের ৰের, আন্নাম, লাওস, কম্বোডিয়া, শ্যাম ও দৰিণ মিয়ানমারের লিপির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। চাকমা ভাষায় লিখিত অনেক পা-ুলিপি থাকলেও চাকমা হরফের কোন ছাপাখানা না থাকায় এ হরফে মুদ্রিত কোন গ্রন্থ নেই। তঞ্চঙ্গারা চাকমা ভাষাতেই লেখাপড়া করে। মারমাদের নিজস্ব হরফ রয়েছে। ত্রিপুরাদের কক-বরক ভাষার নিজস্ব লিপি থাকলেও ভারতে রোমান হরফের অনুকরণে তাদের বর্ণমালা বিন্যসত্ম করা হয়েছে। প্রভাংশু ত্রিপুরা বাংলা হরফকে নিজস্ব ভাষার ধ্বনি-প্রতীকের সাযুজ্যে বিন্যসত্ম করে কক-বরক-আদি শিৰা নামক অৰরজ্ঞানের বই প্রণয়ন করেছেন। ক্রীমা ধর্মের প্রবর্তক মেনলে ম্রো বর্ণমালার প্রবর্তন করেন। সেই বর্ণমালা খুমীরাও ব্যবহার করে। বম, লুসাই ও পাংখোয়ারা ইংরেজি হরফে নিজস্ব ভাষার ধ্বনি-প্রতীকের সাযুয্যে, বিন্যসত্ম করেছে। চাকদের, এক ভাষ্যমতে, সম্প্রতি মিয়ানমারে তাদের প্রাচীন বর্ণমালার সন্ধান পাওয়া গেছে।
গারো ভাষায় খ্রিস্টান মিশনারীরা রোমান হরফ চালু করেন। গারো ভাষা বাংলা হরফেও লেখা যায়। মগ ভাষা আরাকানী ভাষার কথ্য রূপ এবং তিব্বতী-বর্মণ গোষ্ঠীভুক্ত। মগ বর্ণমালার নাম 'ঝা'। বর্মি-আরাকানী বর্ণমালার মতো মগ 'ঝা' ও মণিপুরীদেও মৈতি বর্ণমালা মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নাম ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উচ্চারিত হয়। আঠারো শতকে মণিপুরের মহারাজা গরীব নেওয়াজ বৈষ্ণব ধর্ম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে গ্রহণ করায় মণিপুরী ভাষা বাংলা হরফে লেখা শুরম্ন হয়। ড. মুহম্মদ শহীদুলস্নাহর মতে মু-া ও ওঁরাও ভাষা একই। ওঁরাও বর্তমানে ইংরেজী বা বাংলা অৰরে তাদের ভাষা লিখে থাকে।
২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক শানত্মি চুক্তি স্বাৰরিত হয়। এই চুক্তির 'খ' খ-ে ৩৩ খ ২ অনুচ্ছেদে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের "মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিৰা" বিষয়টি উলেস্নখ করা হয়। চুক্তিকে ভিত্তি করে জাতীয় সংসদে চারটি আইন পাস হয় : রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন ১৯৯৮ ইং। এই চারটি আইনের প্রথম তিনটি আইনের ৩৩ (ঠ) ধারায় "মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিৰা"কে আইনগতভাবে স্বীকার করা হয়েছে। আইন তিনটির বাসত্মবায়নের দায়িত্ব জেলা পরিষদ এবং আঞ্চলিক পরিষদের।
মাতৃভাষা শিৰায় শিৰিত হওয়ার অধিকার একটি মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। জাতিসংঘের শ্রম সংস্থা ১৯৫৭ সালের ৫ জুন ৪০তম অধিবেশনের ১৭০ নং কনভেনশনে আদিবাসী ও উপজাতীয় ভাষায় শিৰাদানের বিষয়ে সিদ্ধানত্ম গৃহীত হয়। ওই কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ২১-এ উলেস্নখ করা হয়েছে_ "সংশিস্নষ্ট জনগোষ্ঠীর সদস্যদের জাতীয় জনসমষ্টির অবশিষ্ট অংশের সাথে সমতার ভিত্তিতে সকল সত্মরে শিৰা অর্জন করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।" ২৩ (১) অনুচ্ছেদে উলেস্নখ করা আছে_ "সংশিস্নষ্ট জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়েদেরকে তাদের মাতৃভাষায় পড়তে ও লিখতে শিৰাদান করতে হবে; কিংবা যেখানে এটা সম্ভব নয় সেৰেত্রে তাদের সমগোত্রীয়দের মধ্যে সাধারণভাবে বহুল প্রচলিত ভাষায় শিৰাদান করতে হবে।" ২৩ (২)-এ আরও লেখা আছে_ "মাতৃভাষা বা আদিবাসী ভাষা থেকে জাতীয় ভাষা কিংবা দেশের একটি সরকারী ভাষায় ক্রমান্বয়ে উত্তরণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।" বাংলাদেশ উক্ত কনভেনশনের একটি পৰ।
১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, রাজনৈতিক অন্যান্য মতাদর্শ, ধনী, গরিব ও জন্মসূত্র নির্বিশেষে সবাই এ ঘোষণাপত্রে বর্ণিত অধিকার এবং স্বাধীনতার সম-অংশীদার। যে-কোনো স্বাধীন কিংবা স্বায়ত্তশাসিত অথবা সীমিত সার্বভৌম দেশের রাজনৈতিক, আনত্মর্জাতিক বা আঞ্চলিক বিশেষত্বের কারণে ওই দেশের কোনো অধিবাসীর প্রতি কোনোপ্রকার ভিন্ন আচরণ করা যাবে না।"
১৯৬৯ সালের ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়াবহধহঃ ড়হ ঈরারষ ধহফ চড়ষরঃরপধষ জরমযঃং (ওঈঈচজ) অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অধিকারের আনত্মর্জাতিক চুক্তির ২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে :
১. সঠিক উপায়, বিশেষ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দ্বারা এ চুক্তিতে বর্ণিত অধিকারসমূহের সম্পূর্ণ প্রগতিশীল বাসত্মবায়নের উদ্দেশ্যে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী দেশ নিজস্বভাবে এবং বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ৰেত্রে আনত্মর্জাতিক সাহায্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে তার নিজস্ব সম্পদের পূর্ণ সদ্ব্যবহারের পদৰেপ নেবে।
২. অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, রাজনৈতিক ও অন্যান্য মতাদর্শ, ধনী, গরিব ও জন্মসূত্র নির্বিশেষে চুক্তিতে বর্ণিত অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা দেবে।
২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে_ 'যদি কোনো দেশে আঞ্চলিক, ভাষাভিত্তিক অথবা ধমর্ীয় এমন জনগোষ্ঠী থাকে, যারা ওই দেশে সংখ্যালঘিষ্ঠ, তাদের ৰেত্রে এই অধিকার অস্বীকার করা যাবে না, বরং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তাদেরকেও নিজস্ব সংস্কৃতি উপভোগ, তাদের নিজস্ব ধর্ম অবলম্বন ও প্রচার এবং তাদের নিজস্ব ভাষা ব্যবহারের অধিকার দিতে হবে।'
১৯৯২ সালের জাতি, বর্ণ, ধর্ম ও ভাষার কারণে সংখ্যালঘুদের অধিকারের ঘোষণায় ভাষাগত সংখ্যালঘুদের অধিকারের কথা বার বার এসেছে। প্রত্যেক রাষ্ট্রের প্রত্যেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভাষাগত বৈশিষ্ট্য ও স্বারূপ্যের বিকাশের সহায়তাদানের কথা বলা হয়েছে। ওই ঘোষণায় ভাষাগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের সংগঠন ও সমিতি রৰা করতে পারবে বলে উলেস্নখ করা হয়। প্রতিটি রাষ্ট্র প্রত্যেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাতৃভাষার বিকাশ এবং সম্ভব হলে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিৰার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবে।
১৯৯৫ সালের আদিবাসীদের অধিকারের খসড়া ঘোষণায় আদিবাসীদের নিজেদের ভাষার পুনরম্নজ্জীবন, ব্যবহার, উন্নয়ন বা সম্প্রচারের অধিকার স্বীকৃত হয়। সম্ভব হলে আদিবাসীরা তাদের ভাষায় তাদের স্বকীয় মিডিয়া মাধ্যম পরিচালনা করতে পারবে। এ সব আদিবাসীর অধিকার রাষ্ট্রীয় আইন ও সংবিধানে প্রতিফলিত হতে হবে।
আদিবাসীদের দাবি_ তাদের জাতিসত্তা ও ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। তাদের কথা সংবিধানের ২৩ অনুচ্ছেদে যে জাতীয় ভাষার কথা উলেস্নখ করা হয়েছে তা কেবল বাংলা ভাষার কথা বলে। সাংবিধানিক স্বীকৃতি পেলে তা কত সহায়ক হবে তা বলা মুশকিল।
বাংলা ভাষা প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বলে স্বীকৃত হলেও দেশে রাজনৈতিক অস্থিতি, সামরিক শাসন এবং নানা ধরনের বিভ্রানত্মির কারণে সেই রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা এখনো প্রতিষ্ঠিত হলো না।
সামিভাষী উপজাতির ইয়োহান গাফপ্পি নরওয়ে মূলস্রোতের সঙ্গে আত্মীকৃত হতে চাননি। আদিবাসী-উপজাতি গোষ্ঠীদের মধ্যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি তাঁর ভাষা ও সংস্কৃতিতে দৰতা অর্জনে সুযোগ-সুবিধায় বঞ্চিত হওয়ায় খেসারতের মামলা করেন। দেশের তিনটির প্রত্যেক আদালতে এবং পরে ইউরোপিয়ান মানবাধিকার কমিশনে তামাদির কারণে তিনি হেরে যান। আদিবাসীরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যে কি দুর্ভোগ পোহায় সে সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের টুলালুপ জনগোষ্ঠীর জেনেট ম্যাককাইউ একবার দুঃখ করে বলেন, 'একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি সূর্যের নিচে একটা জায়গা পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছি, কিন্তু আমার গায়ে আমি কেবল গুচ্ছের ফোসকা উঠতে দেখেছি।'

মাতৃভাষার ব্যাপারে মানুষের মনে আবেগ থাকে। সুইডেনের সামিভাষী আদিবাসী কবি পলাশ উৎসির ছোট কবিতাটি তো বড়ই বাঙ্ময় :
কিছুই না
যে ভাষা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই
তা ছাড়া কিছুই বেশি দিন থাকে না
আমাদের আত্মায়।
এ আমাদের চিনত্মামুক্ত করে,
উন্মুক্ত করে আমাদের মন
এবং কোমল করে আমাদের জীবন।

শিশির চাকমার কবিতা আমার প্রাণের বর্ণমালায় একুশের ফেব্রম্নয়ারির সঙ্গে এক একাত্মতার ইঙ্গিত দেয়।
ফুলে ফুলে শহীদ মিনার ভরে গেছে
সালাম রফিক জব্বার বরকতদের পাহাড়সম উঁচু আত্মাগুলো
নিপুণ পূর্ণর্িমার আলোর মতো আছে ফুলের বিছানায়
আমাদের পুষ্পার্ঘ অর্পণের সাথে সাথে
আমাদের বর্ণমালাগুলো সলাজে বেরিয়ে এল
তারা কি যেন বলতে চায়।

বর্ণমালাগুলো পুষ্পার্ঘ ঝলাটিকে চুমো দিচ্ছে
ভালোবাসার ছোঁয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রাণের একাগ্রতায়
হঠাৎ তারা কোথা থেকে এল?
এতদিন তারা ছিল শ্রীধাম বৈদ্য চন্দ্র হরি বৈদ্য
ভগবান বৈদ্য আর সূর্য সেন বৈদ্যদের
পুরনো তেল চিটচিটে ঝোলার ভিতরে।
শ্রীধাম বৈদ্য আর চন্দ্রহরি বৈদ্য হারিয়ে গেছে
তাদের ফেলে যাওয়া ঝোলায় কতদিন
আর পরে থাকবে অবহেলায় উপেৰায় বঞ্চনায়
আজ একটু সুযোগ পেয়ে তারা বেরিয়ে এসেছে
জব্বারদের আত্মার সাথে একাত্ম হতে।

আদিবাসীদেরকে স্বীয় প্রচেষ্টায় এবং দেশের সুশীল সমাজের সহায়তায় তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দু'শ' বছর আগে বাংলা ভাষার যে অবস্থা ছিল অনেক আদিবাসী ভাষার অবস্থা অনুরূপ। সম্মুখে গিরিলঙ্ঘনের পরীৰা। সে পরীৰায় আদিবাসী আবারাও ও আতারাও সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হোক।
আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে একুশে ফেব্রম্নয়ারি যেন গলার মাদুলি না হয়ে দাঁড়ায়_ আদিবাসীদের এই আশঙ্কা দূর করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আনত্মর্জাতিক আইন-কনভেনশনের অংশীদার হিসেবে আজ জাতীয় ভাষা বলতে এক বচনে শুধু বাংলা ভাষা নয়, বহু বচনে দেশের সকল ভাষার কথা বিবেচনা করতে হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০

Source: http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=59&dd=2010-02-21&ni=9205
****************************************************************************
Share on Google Plus

About Santali Pạrsi

0 comments:

Post a Comment