Place for Advertisement

Please Contact: spbjouralbd@gmail.com

আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের দিনাজপুর আদিবাসী পল্লী পরিদর্শন

সোমবার , ফেব্রুয়ারী ৯ ২০১৫
 দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আদিবাসীদের তীরের আঘাতে একজন নিহত হওয়ার পর আদিবাসী গ্রামে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত জনতা। এই ঘটনার পর থেকেই গ্রেফতার আতঙ্ক ও হামলার ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে চিড়াকুটা গ্রামটি। গ্রামে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের পর অর্ধাহারে-অনাহারে ও খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে আদিবাসীদের। মিডিয়ায় সংবাদটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারের পর ঘটনার ১০ দিনের মাথায় গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসে আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তারা নির্ভয়ে থাকাসহ আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস ও ওই জমির সঠিক মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে পার্বতীপুর উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের ২১ একর জমি নিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৪ জানুয়ারি সকালে ওই জমিতে পানি সেচ দিতে যায় জমির মালিকানা দাবিকারী জহুরুল হক ও তার ছেলে সোহাগ। এ সময় আদিবাসীরা বাধা দিতে গেলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আদিবাসীদের ছোড়া তীরের আঘাতে শফিউল ইসলাম সোহাগ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এই ঘটনায় আহত হয় আরও চারজন। এ সময় উত্তেজিত বিক্ষুব্ধ জনতা আদিবাসীদের চিড়াকুট গ্রামটিতে হামলা চালায়। তারা আটটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ৩৬টি পরিবারে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বাধা দিতে গেলে মহিলাসহ আদিবাসীদের মারধর ও নির্যাতন করে তারা।
পরে পুলিশ এসে তাদেরকে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রেফতার ও হামলার ঘটনার পর থেকেই পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে আদিবাসী গ্রামটি। নির্যাতন, হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পর থেকেই আশঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছে আদিবাসীরা।


পরিদর্শন দলে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, নাজমুল হক প্রধান এমপি, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি ও ককাসের টেকনোক্র্যাট সদস্য প্রফেসর মেসবাহ কামাল এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হেকসের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনিক আসাদ ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার মনজুন নাহার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আহম্মেদ শামীম আল-রাজী, পুলিশ সুপার রুহুল আমিন প্রমুখ।
পরিদর্শনে আসা প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, জমি নিয়ে নতুন করে কোনো বিরোধ যাতে না হয় সেজন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র দেখেশুনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। তিনি প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন, কোনোভাবেই যেন নির্দোষ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।
তিনি মুসলিম এবং আদিবাসীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নতুন করে কোনো সংঘাতে জড়াবেন না। আমরা বিরোধপূর্ণ জমিতে রিসিভার নিয়োগ করব। যতদিন এই জমির মামলা শেষ হবে না ততদিন রিসিভার নিয়োগ থাকবে। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলো মেরামত এবং ক্ষতিগ্রস্ত সাতটি পরিবারকে সরকারি জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসীদের কৃষি সহায়তাও দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক জানালেন, কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য তারা দৃষ্টি রাখছেন।
প্রফেসর মেসবাহ কামাল বললেন, আদিবাসীদের ভূমি কমিশনের খুবই প্রয়োজন। এটি না হলে এদেশ থেকে আদিবাসীরা ক্রমাগত উত্খাত হবে।
Source: http://shokalerkhobor24.com/?p=40747
Share on Google Plus

About Santali Pạrsi

0 comments:

Post a Comment