০১:৫৩, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
| প্রিন্ট সংস্করণ
|
আপডেট:
রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, রাষ্ট্রে
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নেই। সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর সংখ্যালঘুদের বিশ্বাস
নষ্ট হয়ে গেছে।
‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থান: রাষ্ট্রের ভূমিকা,
সামাজিক বৈষম্য ও ভূমি অধিকার’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে মৌলিক
অধিকার সুরক্ষা কমিটি। গতকাল শনিবার ধানমন্ডির বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল
অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) মিলনায়তনে এই আলোচনা
অনুষ্ঠিত হয়।
মূল আলোচক অর্থনীতিবিদ ও গবেষক স্বপন আদনান বলেন, রাষ্ট্রে
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নেই। সমতলের লোকজন সাঁওতালদের নিয়ে একসঙ্গে বসে
খায় না। এমনকি ওদের চা দেওয়া হয় আলাদা কাপে। যে কারণে সংখ্যালঘুরা এখন আর
সমাজ ও রাষ্ট্রকে বিশ্বাস করে না।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, রাষ্ট্র
নিষ্ঠুর হয়ে গেছে। কিছু লোক রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে সুবিধা নিচ্ছে। এর শুরু
হয়েছিল ২০০২ সালে ক্লিন হার্ট অপারেশনের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে
প্রভাবশালীদের কাছে দেশের সব নাগরিক সংখ্যালঘু হয়ে যাবে। এ অবস্থা থেকে
রাষ্ট্রকে বের করে আনা কঠিন। তবুও চেষ্টা করে যেতে হবে।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আইনের বিষয়ে কেউই সচেতন
নন। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোনো ধরনের মামলা ছাড়াই সাঁওতাল দ্বিজেন
টুডোকে হাতকড়া পরিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে শুধু
সাঁওতালদের বিষয়টি উঠে এসেছে। অথচ নির্যাতিতদের মধ্যে বাঙালিও আছে। এই
আন্দোলনে তারাও সংখ্যালঘু।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশান্ত ত্রিপুরা বলেন,
সংবিধানে আদিবাসীদের সংস্কৃতির কথা বলা আছে। বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা আছে।
কিন্তু আদিবাসীদের ভাষার কথা বলা নেই। আদিবাসীদের সুরক্ষা দিতে
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং
বলেন, আদিবাসীদের বিষয়ে রাষ্ট্র সংবেদনশীল নয়। রাষ্ট্রের যে মানসিকতা, তা
আদিবাসীদের পক্ষে নয়। যে কারণে গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর হামলার বিষয়ে
গত দুই মাসে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বাঙালি ও আদিবাসীদের সম্পর্ক তৈরি হলে এ
সমস্যা কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাকির হোসেন।
0 comments:
Post a Comment