Place for Advertisement

Please Contact: spbjouralbd@gmail.com

সাঁওতালপল্লীতে পুলিশের আগুন: তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর আদেশ ৭ ফেব্রুয়ারি


  নিজস্ব প্রতিবেদক । ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
 গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লীতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কিছু পুলিশ সদস্য সরাসরি জড়িত মর্মে হাইকোর্টে পেশ করা তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর আদেশের জন্য ৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এই আদেশ দেন। গত সোমবার আদালতে ওই প্রতিবেদন পেশ করেন
গাইবান্ধার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল্লাহ।
এ ব্যাপারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, গাইবান্ধার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত ৭ ফেব্রুয়ারি আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
এদিকে ৬৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাঁওতালদের বাড়িঘরে আগুন লাগানোর ঘটনার জন্য স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এবং ঘটনার সময় দায়িত্বরত দুজন পুলিশ সদস্য ও গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) ১ জন সদস্য সক্রিয়ভাবে জড়িত। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আল জাজিরা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা ভিডিও ক্লিপ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কিছু পুলিশ সদস্য এবং ২ জন সিভিল পোশাকধারী ব্যক্তি সাঁওতালদের বাড়িঘরে আগুন লাগানোয় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। আরও কিছু পুলিশ সদস্য কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেননি।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, চামগাড়ি বিল ও কুয়ারমারা নামক স্থানে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে। সাহেবগঞ্জ ও হরিণমারী এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার পরে আগুন লাগানো হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান এবং হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি দেখে বসতি স্থাপনকারীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য আগুন লাগানোর আগেই তাদের স্থাপনা থেকে প্রায় ৫০০/৬০০ গজ দূরে মাদরপুর ও জয়পুর গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় আশ্রয় নেয় বলে সাক্ষীদের বক্তব্যে সুস্পষ্ট হয়েছে।

তবে কোনো কোনো সাক্ষী তাদের জবানবন্দিতে আগুন লাগানোর ঘটনায় বিভিন্ন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করলেও তাদের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পোশাক পরিহিত থাকায় সাঁওতালদের স্থাপনায় তাদের সদস্যদের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ঘটনার পর গত ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ জড়িত কিনা সে বিষয়ে তদন্তের জন্য গাইবান্ধার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
http://www.dainikamadershomoy.com/todays-paper/firstpage/61821/%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A7%AD-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF
Share on Google Plus

About Santali Pạrsi

0 comments:

Post a Comment