ঢাকা: সাঁওতালি ভাষায় (রোমান হরফ) পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও
পাঠদানের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে
(শিক্ষা) সভাপতি করে কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এই কমিটিকে
সংশ্লিষ্ট এলাকার সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন প্রতিনিধির সঙ্গে এ বিষয়ে
আলোচনা করে সংসদীয় কমিটিতে প্রতিবেদন দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চইলে কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘যেসব এলাকায়
সাঁওতালরা বাস করেন, আমরা সেসব এলাকার এডিসিকে (শিক্ষা) সভাপতি করে রোমান
হরফে সাঁওতালি ভাষায় বই মুদ্রণের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে এবং এ বিষয়ে একটি
প্রতিবেদন দিতে বলেছি।’
কমিটির সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ‘আমরা কমিটির আগের বৈঠকেই
সাঁওতালি ভাষায় বই ছাপানোর সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয়ও আমাদের সঙ্গে একমত। এ
বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক ও কারিকুলাম বোর্ডের
সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আর এবারের বৈঠকে বই
মুদ্রণের বিষয়ে সাঁওতালদের মতামত নিতে সংশ্লিষ্ট জেলার এডিসি (শিক্ষা)-কে
সভাপতি করে একটি কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।’
সরকার এর আগে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ওঁরাও (সাদ্রি) এবং গারো জনগোষ্ঠীর
শিশুদের জন্য তাদের মাতৃভাষায় বই মুদ্রণ করেছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে
প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে এই বই চালু হয়েছে। আগামীতে অন্যান্য শ্রেণিতেও এসব
ভাষায় বই মুদ্রণ হবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বৈঠকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজের
বিত্তবান ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও বিত্তবান অভিভাবকদের আর্থিক সহায়তায় মিড ডে
মিল কার্যক্রম চালু রাখার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘মা সমাবেশ’-এর কার্যক্রম অব্যাহত রাখার
ওপরে জোর সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া যেসব বিদ্যালয়ে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত
সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হয়েছে, সেসব বিদ্যালয়কে সরকারিকরণের আওতায় আনার
সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন,
সামশুল হক চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, মো. আবুল
কালাম, আলী আজম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ এবং উম্মে রাজিয়া কাজল বৈঠকে অংশগ্রহণ
করেন।
নিউজজি/টিএফ/এমকে
0 comments:
Post a Comment