Place for Advertisement

Please Contact: spbjouralbd@gmail.com

আলফ্রেডরা ঘুমালেও, জেগে থাকুক বিচিত্রারা

স্বপন এককা
শৈশবে মা-বাবা, দাদা-দাদির কোলে শুয়ে-বসে রূপকাহিনী শুনতাম অনেক। রাজ-রাজড়ার কাহিনী, ভূত-প্রেত, জন্তু জানোয়ার, রাক্ষস, জিন-পরীদের রসালো ও ভয়ার্ত সব কাহিনী শুনে গা ছমছম করত। চোখে যখন ঘুম নামতো না তখন অদূরে ডেকে যাওয়া শেয়ালের হুক্কাহুয়ার অনুকরণ শোনা যেত পাশের বাড়ির আঙিনা থেকে। তখনও বুঝতাম না সেটা ও বাড়িওয়ালার চালাকি।

যখন আর একটু বড় হয়েছি তখন আমাদের পূর্বপুরুষরা কিভাবে বন্য পশুপাখি, বিষাক্ত সাপ, পোকামাকড়ের দংশন সয়ে বসতবাড়ি, ঊষর ভূমিকে আবাদি জমিতে রূপান্তর ঘটিয়েছে সেসব কাহিনী শুনেছি। তাদের মুখেই শুনেছি এত এত জমি নিজের কাছে রেখে কী লাভ! তাই তারা অন্যদের তৈরি জমি দিয়ে দিত। জমির মালিক হিসেবে তাদের কাছে তখন দলিল দস্তাবেজের কোনো বালাই ছিল না। হাল যার, জমি তার-নিয়ম যেন এমনি। আউশ, আমন ধান, কাউন আর কিছু রবিশস্য আবাদ করে সারাবছরের খাদ্য জমাত তারা। তাছাড়া বন জঙ্গলের লতা-পাতা, ফলমুল, ডোবা-জলার শামুক, ঝিনুক, মাছ, কাঁকড়া, কচ্ছপ প্রভৃতি ছিল তাদের খাদ্যতালিকার উপাদেয় খাবার। নদীনালা, জঙ্গল-পাহাড়ে বসবাসকারী এসব আদিবাসীরা মূলজনগোষ্ঠী থেকে বেশ তফাতে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত। এতে সুবিধা ছিল যে কেউ তাদের দৈনন্দিন জীবন জীবিকায় কোনোরূপ বাধা দেয়ার প্রয়োজন মনে করত না। তখন তাদের উৎসবপার্বণগুলোও বেশ সাড়ম্বরে উদযাপন করা হতো। আদিবাসীরা মহুয়া মদ আর হাড়িয়া জলে মজে গিয়ে লোক ঐতিহ্যের চর্চা-অনুশীলন করত। ছেলেমেয়েরা সারারাত জেগে ঢোল-মাদল, নাগরা, কাশির সুর ঝংকারে কোমর জড়িয়ে ঝুমুর তালে মাতিয়ে তুলতো আখড়া বা ডেরা। সংখ্যাগুরুদের স্বাভাবিক জীবনে এরা কখনো উপদ্রব হয়নি। বরং এরা সবসময় মূলজনগোষ্ঠী থেকে তফাতে সরে থেকেছে।

ফসল লাগানোর মৌসুমে সবাই সবার সাহায্যে এগিয়ে আসত। বেগার নামক স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করত। জমির মালিক তখন পাড়াপ্রতিবেশীদের ডেকে এনে খাওয়াতো সাধ্যমতো। তাদের ছিল পারিবারিক ও পাড়াকেন্দ্রিক গোরস্তান ও শ্মশানভূমি। সময় পাল্টেছে এখন। আদিবাসীরা এখন অস্তিত্ব বিপন্নতায় পতিত। জাতীয় জাদুঘরের ছোট্ট কুঠুরীতেই যেন ভালো শোভা পায়! বৈরী প্রতিরূপ পরিবেশ তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের হয়তো অনুপযোগী বলেই তাদের অবস্থান এখন গ্রিন হাউজের মতো স্বচ্ছ ঘেরাটোপে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের কথা বাদই দিলাম গোটা উত্তরবঙ্গ তথা সমতলের আদিবাসীদের একসময় নিজস্ব জায়গা জমি ছিল অঢেল। কিন্তু আজ অবস্থা বিপরীত। যে জমি ছিল তাদের নিজেদের সে জমি আজ অন্যের। এক শতক না পেরোতেই মালিকানা দ্রুত বদল হয়ে যাচ্ছে। যেখানে তারা মজুরি খাটে দুমুঠো আহারের জন্য। শুধু মানসিক নয় কর্মক্ষেত্রে অনেকেই শারীরিকভাবেও হেনস্তার শিকার হন। লোক লজ্জার ভয়ে হয়তো কেউ তা প্রকাশ করেন না। নীরবে সয়ে যান।

আদিবাসীদের জমি কব্জায় নেবার কতনা ফন্দি ফিকির সংখ্যাগুরু প্রভাবশালীদের। মিথ্যা ও সাজানো মামলা হামলায় আদিবাসীদের জড়িয়ে হয়রানি করা হয়। আদিবাসীদের মধ্যে যাদের অর্থসম্পদ আছে, যারা সচ্ছল সেসব বিত্তবানদের পক্ষাবলম্বন করে মামলা পরিচালনায় পরামর্শ সহযোগিতা প্রদান করার মাধ্যমে সংখ্যাগুরুরা আদিবাসীদের নৈকট্য লাভ করেন। বিরোধীপক্ষকে সম্পদ, সম্ভ্রমহানির হুমকি, ভয়ভীতি দেখিয়ে, শাসিয়ে পক্ষের লোকগুলোর অনুগ্রহ লাভ করে তাদের ধর্ম পিতা-মাতা আত্মীয় হয়ে যান নিমিষেই। এভাবেই সম্পদশালীদের বাসায় নিয়মিত যাতায়াতের ফলে তাদের স্ত্রী-যুবতী কন্যাদের বাগে এনে ধর্মান্তর ও বিয়ে করার মাধ্যমে সম্পদে অংশীদার হয়ে যান অ-আদিবাসীরা। নেশাদ্রব্য উৎপাদন, বিপণনে খোদ প্রভাবশালী নেতা জনপ্রতিনিধিরাই আদিবাসীদের উৎসাহিত করেন। অথচ পড়াশুনার জন্য আদিবাসী শিশুদের তাগিদ দেয়া হয় না। কারণ তারা শিক্ষিত হলে তো আর ঠকানো যাবে না। উঠতি বয়সী ছেলেদের নেশা ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে বিপদে ফেলে তারাই আবার ত্রাতারূপে এসে হাজির হন। যে আদিবাসীদের তারা হোটেল রেস্তোরাঁয় ঢুকতে দিতে অপারগ তারাই কিনা আদিবাসীদের ভোট, সম্পদ, নারী দখল ও ভোগ করার লালসায় হায়েনার মতোই হামলে পড়েন। তখন কোথায় থাকে তাদের রুচিবোধ, লোকদেখানো ভদ্রতা-ভব্যতা!

ক্রমাগতভাবে আদিবাসীদের আবাদি জমি, বসতবাড়ি দখল কিংবা অধিগ্রহণ করে ইকোপার্ক তৈরি, বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ, সামাজিক বনায়ন, যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, আদিবাসীদের বাড়ির পাশে বাড়ি তৈরি করে আদিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনের কর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি, ধর্মীয় উৎসব পার্বণাদি পালনে বাধাদানের মাধ্যমে এদেশ থেকে আদিবাসীদের চিরতরে উৎখাতের অপচেষ্টায় লিপ্ত এলাকার সংখ্যাগুরু সমপ্রদায়ের স্বার্থান্বেষী মহল। শ্মশান বা কবরস্থান পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না। ঢোল মাদলে সুমধুর আওয়াজেও যেন তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়, ধুপের উৎকট গন্ধে যেন তাদের দম বন্ধ হয়ে আসে এমনই তাদের অভিব্যক্তি। উদ্যত কামুক রাইফেলের নিশানা তাক করা আছে আদিবাসীদের সম্পদ, নারীদের দিকে যেন বা চিল শকুনের ভাগাড়। দিনের আলোয় যারা সাদা শুভ্র বসনে, সুবচনে সুললিত কণ্ঠে নীতি নৈতিকতার জিকির তুলে হাততালি পান, রাতের আধারে, লোকচক্ষুর অন্তরালে এরাই হন সর্বভূক প্রাণী।

আদিবাসীদের বন্ধু বলে পরিচিত দাঁদন ব্যবসায়ীরা কর্জ টাকার ওপর চড়াসুদ ধরে আসল টাকার ১০-১৫ গুণ বাড়িয়ে স্বল্প সময়ে আদিবাসীদের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। কেউ হয়তো ৫০০ টাকা ধার বা কর্জ দিয়েছে ৩ মাস পর তা বেড়ে সুদাসলে হয় ১০০০ টাকা! এক বছর পর তা ২০০০ টাকা হয়। দেখা যায় যে চতুর ধুরন্ধর সেই বিপদের বন্ধুটি তার দেয়া ৫০০ টাকা দিয়েই ৪-৫ বছরে এক বিঘা জমির মালিক হয়ে গেছে। যে জমির প্রকৃত বাজার মূল্য তখন ৩০-৩৫ হাজার টাকা। পাওনা টাকা যথাসময়ে ফেরত দিতে না পারলে দলিলপত্র গচ্ছিত রেখে দেয়া হয় কখনো কখনো। টাকার অংক বেশি হলে জমি বন্ধক রাখা হয়। সেই বন্ধকী জমিতে চাষাবাদ করতে করতেই যেন তাতে তাদের স্বত্ব জন্মে যায়। এর মধ্যেই ভুয়া বা নকল দলিল তৈরি করে ফেলে তারা। কখনো বা সেই জমি অনুগত আদিবাসীদের নামে জমি কিনে পরে তা নিজের নামে দলিল করা হয়। সহজ সরল নিরক্ষর আদিবাসীদের বেলায় দেখা যায় যে এক বিঘা জমি বিক্রি করতে গিয়ে এক একর কিংবা এক হেক্টর জমি বিক্রি হয়ে যায়!

এসবের প্রতিকার চেয়ে আদিবাসীরা কার কাছে সহায়তা চাইবেন? স্থানীয় প্রভাবশালীরা, জনপ্রতিনিধি, সরকার দলীয় নেতাকর্মীরাই যদি আদিবাসীদের ওপর জুলুম, নির্যাতন, হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে শাসন শোষণ করেন তবে তারা যাবেন কোথায়? সুখ শান্তি, নিরাপত্তা কামনা করে যাদের ওপর পরম ভরসা রেখে আদিবাসীরা ভোট দেয় তারাই যদি আদিবাসীদের সম্পদ, নারীর ওপর হামলে পড়েন তবে আর কার কাছে প্রতিকার চাইবেন। তাইতো একসময় তারা নিভৃতে দেশান্তর হয়ে যান। মিথ্যা মামলায় ফেরারি হওয়ার চেয়ে দেশান্তরী হওয়াই যেন তাদের কাছে শ্রেয়।

রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ অনুযায়ী আদিবাসীদের ভূমি কেনার আগে জেলা প্রশাসকের (সার্বিক) অনুমতি নিতে হবে (ক্রেতা যদি হন অ-আদিবাসী)। কম লোকই তা মেনে চলেন। সিলেটের বালুচর এলাকার চেয়ারম্যান মছবি্বর হোসেন বলেন যে এ ধরনের আইন মাত্র দু'বছর আগে থেকে শুরু হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি যদি এ রকম অনৈতিক ও বেআইনি কাজ করতে পারেন তখন অন্যরা কি-না করতে পারেন। তখন যারা জমি কেনাবেচার কাজটি করেন সেই মুহুরি হাকিম কি জানতেন না কে কার জমি কিনছে? নিশ্চয় তারা টাকার নেকাবে আড়ালে থেকে কবুল পড়িয়ে সটকে পড়েন। নয়তো এহেন গর্হিত কাজ বছরের পর বছর চলতে থাকে কিভাবে?

অনেক ভূমি ক্রেতা-বিক্রেতা এ আইন সম্পর্কে জানলেও যতটা না টাকা পয়সা খরচের ভয়ে তার চেয়ে বেশি ভয় অনুমতি না পাবার আশঙ্কা করেন! প্রকৃত মূল্যের অনেক কম দামে জমি হাতিয়ে নেয়ার বাসনায় তারা ওপথ মাড়ান না। আর এ কারণেই গোমস্তাপুরের বিচিত্রা তিরকীর স্বামী মঙ্গলা সরকার তার সর্বস্ব হারিয়ে অর্থাভাবে করুণ মৃত্যু বরণ করেন। অথচ পৈতৃক সূত্রে তিনি ছিলেন ৪৮ বিঘা জমির মালিক। বিচিত্রাদের এতগুলো ধানি জমি অল্প সময়ে কিভাবে বেহাত হয়? যে এতগুলো জমি বিক্রি করে সে এত টাকায় কী করেছে? আদিবাসীদের পেট নিশ্চয় ডাইনোসর বা হাতির পেটের মতো বড় নয়! যে বা যারা কিনেছে তাদের আর্থিক সঙ্গতিই বা কতটুকু? জেলা প্রশাসনের কেউ কি জানতে চেয়েছিলেন কী কারণে মঙ্গল এতগুলো জমি বিক্রি করছেন? উত্তরবঙ্গের আদিবাসীদের এ রকম শত হাজার একর জমি বেদখল হয়ে আছে। অর্থবল, জনবল, মনোবলের সংকটে কেউ আর সেগুলো পাওয়ার আশা করেন না।

অবৈধ দখলদারীদের হাত থেকে এই ভূমি রক্ষা করতে গিয়েই ২০০০ সালের ১৮ আগস্ট মহাদেবপুরের ভীমপুরে নৃশংসভাবে খুন হন সাঁওতাল নেতা আলফ্রেড সরেন। এ নিয়ে মামলা হলেও তার ফলাফল নিয়ে আদিবাসীরা এখনো সন্দিহান। ঢেউ খেলানো বরেন্দ্রভূমিতে আদিবাসীদের আবাস এখন দোদুল্যমান। নিশাত মজুমদার, ওয়াসফিয়া নাজরীনদের মতো এভারেস্ট চূড়ায় পতাকা ওড়াতে না পারলেও নিজের বেদখল হওয়া জমিতে ঝা-া পোঁতা চাট্টিখানি কথা নয়। ভূমিখেকোদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে সেই দুঃসাধ্য কাজটিই করেছে গোমস্তাপুর উপজেলার জিনারপুরের সাহসী আদিবাসী ওঁরাও নারী বিচিত্রা তিরকী। যেন সে নতুন যুগের ইলামিত্র। সাঁওতালদের রানীমাতা নাচলের ইলামিত্রের অন্তর্ধান হলেও নব চেতনায় উজ্জীবিত একালের রানীমাতা রূপে আবির্ভাব যেন এই বিচিত্রা তিরকীর। সর্বহারা স্বামী মঙ্গলের পৈতৃক সম্পত্তি যা অন্যেরা বেআইনিভাবে হস্তগত করেন তা উদ্ধারে তিনি যে সাহসিকতার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেন তা আদিবাসীদের মনে আশার সঞ্চার ঘটায়। সামপ্রতিক উপজেলা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের দুইজন আদিবাসী নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। নাচোল উপজেলায় প্রতিমা রানী রাজোয়ার ও দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায় রুসিনা সরেন। তারা প্রমাণ করেছেন যুগের প্রয়োজনে তাদের কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। তাদের নিজ যোগ্যতা, দক্ষতায় তারা সংখ্যাগুরুদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ পর্যায়ে এসেছেন। দেশজুড়ে জয়িতাদের তালিকায় কতিপয় আদিবাসী নারীদের নামও যুক্ত হতে দেখছি। আশা জাগানিয়া এই নারী নেতৃত্বের সম্মিলন যদি সাহসী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয় তবেই সমতলের আদিবাসীরা মানমর্যাদা নিয়ে এদেশে টিকে থাকতে পারবে।

আদিবাসী ওরাঁও সমাজে প্রচলিত আছে যে, রোহিতাস গড়ে আদিবাসীরা নেশা খেয়ে সারারাত আনন্দ ফুর্তি করে ভোরবেলা যখন তারা গভীর ঘুমে অচেতন তখন বাইরের দখলদার বাহিনী রোহিতাসগড় আক্রমণ করে। তখন নারীরা তড়িৎগতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরুষের বেশ ধরে দখলদারদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং তাদের পরাস্ত করতে সক্ষম হয়। অবশ্য শেষবার আদিবাসী নারীদের আসল চেহারা ধরা পড়লে শত্রুপক্ষ পুরুষালি চেতনায় ঝাঁপিয়ে পড়ে আদিবাসীদের রোহিতাসগড় থেকে বিতাড়িত করে।

কাস্তে হাতে ঝুমুর তালে আদিবাসী নারীরা শুধু কোরাস গাইতেই পারঙ্গম নয় প্রয়োজনীয় মুহূর্তে জ্বলে উঠতেও পারে। নিজেদের দাবি অধিকারে উচ্চকিত বিচিত্রা তিরকী, রুসিনা সরেন, বিশুদমনি টপ্য, প্রতিমা রানী রাজোয়ারসহ উত্তরবঙ্গের আদিবাসী নারীদের শাণিত চেতনার মশাল মিছিলে কাটুক আঁধার।
[লেখক : আদিবাসী সংগঠক ও সংস্কৃতিকর্মী]

উৎস: http://www.thedailysangbad.com/index.php?ref=MjBfMDNfMThfMTRfMl8yMF8xXzE1ODQwMg==

Share on Google Plus

About Santali Pạrsi

0 comments:

Post a Comment