আপডেট: ১৯:৩১, মে ১৪, ২০১৬
|
দেশে যেভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে, যেভাবে দেশছাড়া হচ্ছে, তাতে
এই দেশ একদিন আদিবাসী ও সংখ্যালঘুশূন্য হয়ে যাবে। আজ শনিবার রাজধানীর
সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক জাতীয় সংলাপে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ
খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এই পরিস্থিতি থেকে
উত্তরণে তাঁরা সাত দফা দাবি ঘোষণা করেন।
‘অস্তিত্ব রক্ষার প্রত্যয়ে এবং সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবি’ শীর্ষক এই জাতীয় সংলাপে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের দাবি আদায়ে দেশের সব শ্রেণি–পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৪৭ সালে দেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ শতাংশ। অথচ ২০১১ সালে তা মাত্র ১০ শতাংশে নেমে আসে। সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং জমি দখল বন্ধ না হলে একদিন হয়তো এ দেশ আদিবাসী ও সংখ্যালঘুশূন্য হয়ে যাবে। তাই জাতীয় সংসদে ২০ ভাগ হারে ৬০টি আসন সংরক্ষণ, সাংবিধানিক বৈষম্য বিলোপ, সমঅধিকার ও সমমর্যাদা, স্বার্থবান্ধব আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য নিরসন, দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে উত্তরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরার সাত দফা দাবি জানানো হয়।
‘অস্তিত্ব রক্ষার প্রত্যয়ে এবং সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবি’ শীর্ষক এই জাতীয় সংলাপে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের দাবি আদায়ে দেশের সব শ্রেণি–পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৪৭ সালে দেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ শতাংশ। অথচ ২০১১ সালে তা মাত্র ১০ শতাংশে নেমে আসে। সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং জমি দখল বন্ধ না হলে একদিন হয়তো এ দেশ আদিবাসী ও সংখ্যালঘুশূন্য হয়ে যাবে। তাই জাতীয় সংসদে ২০ ভাগ হারে ৬০টি আসন সংরক্ষণ, সাংবিধানিক বৈষম্য বিলোপ, সমঅধিকার ও সমমর্যাদা, স্বার্থবান্ধব আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য নিরসন, দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে উত্তরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরার সাত দফা দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেন, সংখ্যালঘুদের জমি যারা দখল করে, যারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে, কোনোভাবেই তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের সাত দফার সঙ্গে আমি মোটামুটি একমত। আজকে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হচ্ছে। আপনারা সাহায্য করেন। একদিন ’৭২–এর সংবিধানে আমরা ফিরবই।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমরা কিছু কাজ করেছি। কিন্তু রাষ্ট্রকে তো আমরা এখনো অসাম্প্রদায়িক করতে পারছি না। এখনো রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সমস্যা সমাধানে যে চাপ তৈরির কথা, সেটাও কিন্তু আমরা করতে পারিনি। আজকে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে। তাদের জমি দখল হচ্ছে। জাতীয় ঐকমত্য না হলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বলেন, ‘সারা দেশেই সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের ওপর শোষণ-নিপীড়ন চলছে। এই সমস্যা সমাধানে আমাদেরই লড়াই করতে হবে। লড়াই ছাড়া সমাধান আসবে না।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘পাকিস্তান আমল থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে। দয়া করে আমাদের যতটুকু অধিকার আছে, তা–ই দিন। আমাদের যতটুকু প্রতিনিধিত্ব আছে, ততটুকুই দিন।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমরা তো এ জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি, যাতে সংখ্যালঘুরা নিজভূমে পরবাসী মনে করবে। আজকে সমঅধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবিতে সম্মেলন হচ্ছে। না জানি একদিন শুধুই অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই আন্দোলন করতে হয়।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পরিষদের সভাপতি উষাতন তালুকদার। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ শিরীন আখতার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, লেখক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনের সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ কামাল, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবউদ্দিন বীর বিক্রম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ।
0 comments:
Post a Comment