০২:১৫, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৭
| প্রিন্ট সংস্করণ
|
আপডেট:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোর ঘটনায় স্থানীয়
কয়েকজন এবং ওই সময় দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য
দায়ী বলে বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে। আর আগুন লাগানোর ঘটনার সঙ্গে
দুই পুলিশ ও এক ডিবি সদস্য সক্রিয়ভাবে জড়িত বলা হয়েছে। তবে তাঁদের শনাক্ত
করা যায়নি।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। আদালত ৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।
আগুন দেওয়ায় পুলিশ সম্পৃক্ত বলে গণমাধ্যমে আসা খবর যুক্ত করে রিট আবেদনকারীদের করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন।
আগুন দেওয়ার ঘটনায় কারা জড়িত ও এতে পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত কি না, তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৯ জানুয়ারি গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. শহিদুল্লাহ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল দপ্তরে প্রতিবেদনটি জমা দেন, গতকাল তা আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু প্রতিবেদনের মতামত অংশ তুলে ধরে বলেন, আগুন লাগানোর ঘটনার সঙ্গে দুই পুলিশ ও এক ডিবি সদস্য সক্রিয়ভাবে জড়িত বলা হয়েছে। তবে তাঁদের শনাক্ত করা যায়নি।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী সামিউল আলম সরকার প্রতিবেদনের কপি পাননি বলে জানান। এরপর আদালত সংশ্লিষ্ট শাখাকে প্রতিবেদনের অনুলিপি ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পক্ষগুলোকে সরবরাহ করতে বলেন।
মোতাহার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবেদনের মতামত অংশে দেখা যায়, স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি ও পুলিশ সদস্যের মধ্যে দুজন এবং এক ডিবি সদস্য সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে প্রতিবেদনে তাঁদের নাম আইডেনটিফাই (চিহ্নিত) করা যায়নি। কারণ, তাঁরা হেলমেট পরা ছিলেন। এমনকি ভিডিওটি অনেক দূর থেকে ধারণ করা, তাই তদন্ত কমিটি এটা ডিটেক্ট (নাম শনাক্ত) করতে পারেনি। ওই ঘটনার দিন কারা দায়িত্বে ছিলেন ও তাঁদের তালিকার বিষয়ে এক প্রশ্নে মোতাহার হোসেন বলেন, ওই দিন যাঁরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের তালিকা পুলিশ সুপারের কাছে চাওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কার্যক্রম চলছিল, ওই তালিকা সেখানে সরবরাহের কারণে তাৎক্ষণিক তা করা যায়নি।
গত বছরের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত ও কয়েকজন সাঁওতাল নিহত হন। এরপর সাঁওতালদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত ১৬ নভেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্রতী সামাজিক কল্যাণ সংস্থা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট একটি রিট করে।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। আদালত ৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।
আগুন দেওয়ায় পুলিশ সম্পৃক্ত বলে গণমাধ্যমে আসা খবর যুক্ত করে রিট আবেদনকারীদের করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন।
আগুন দেওয়ার ঘটনায় কারা জড়িত ও এতে পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত কি না, তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৯ জানুয়ারি গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. শহিদুল্লাহ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল দপ্তরে প্রতিবেদনটি জমা দেন, গতকাল তা আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু প্রতিবেদনের মতামত অংশ তুলে ধরে বলেন, আগুন লাগানোর ঘটনার সঙ্গে দুই পুলিশ ও এক ডিবি সদস্য সক্রিয়ভাবে জড়িত বলা হয়েছে। তবে তাঁদের শনাক্ত করা যায়নি।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী সামিউল আলম সরকার প্রতিবেদনের কপি পাননি বলে জানান। এরপর আদালত সংশ্লিষ্ট শাখাকে প্রতিবেদনের অনুলিপি ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পক্ষগুলোকে সরবরাহ করতে বলেন।
মোতাহার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবেদনের মতামত অংশে দেখা যায়, স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি ও পুলিশ সদস্যের মধ্যে দুজন এবং এক ডিবি সদস্য সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে প্রতিবেদনে তাঁদের নাম আইডেনটিফাই (চিহ্নিত) করা যায়নি। কারণ, তাঁরা হেলমেট পরা ছিলেন। এমনকি ভিডিওটি অনেক দূর থেকে ধারণ করা, তাই তদন্ত কমিটি এটা ডিটেক্ট (নাম শনাক্ত) করতে পারেনি। ওই ঘটনার দিন কারা দায়িত্বে ছিলেন ও তাঁদের তালিকার বিষয়ে এক প্রশ্নে মোতাহার হোসেন বলেন, ওই দিন যাঁরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের তালিকা পুলিশ সুপারের কাছে চাওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কার্যক্রম চলছিল, ওই তালিকা সেখানে সরবরাহের কারণে তাৎক্ষণিক তা করা যায়নি।
গত বছরের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত ও কয়েকজন সাঁওতাল নিহত হন। এরপর সাঁওতালদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত ১৬ নভেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্রতী সামাজিক কল্যাণ সংস্থা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট একটি রিট করে।
0 comments:
Post a Comment