প্রকাশিত: ১০:৫৩ , ০৬ নভেম্বর ২০১৭
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর সুগার মিলের জমিতে বসবাসকারী সাঁওতালদের উচ্ছেদের এক বছর আজ। গত বছরের এইদিনে সাঁওতালদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হলেও দীর্ঘ এক বছরেও তার উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি।
এদিকে, উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালরা এখন ঝুপড়ি ঘর তুলে আশপাশের গ্রামে বসবাস করছেন। প্রশাসন বলছে বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে সাঁওতালদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে। তবে সাঁওতালরা বলছেন, পূনর্বাসন নয়, তারা ফিরতে চান পূর্বপুরুষের ভিটায়।
গেলো বছরের ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রংপুর সুগার মিলের জমিতে বসবাসকারী সাঁওতালদের উচ্ছেদ করা হয়। এসময় তাদের সাথে সংঘর্ষ হয় পুলিশ ও সুগার মিল কর্তৃপক্ষের। সাঁওতালদের ঘড়-বাড়ি জ্বালিয়ে লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত হয় ৩ সাঁওতাল। আহত হয় অনেকে। এরপর থেকে ঝুপড়ি ঘড় তুলে তারা বসবাস করছে পাশের জয়পুর ও মাদারপুর গ্রামের বিভিন্ন জায়গায়।
ওই ঘটনার পর ১৬ নভেম্বর সাঁওতালদের পক্ষ থেকে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় এ পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হলেও গেলো ১ বছরে মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সাঁওতালরা।
তবে সাঁওতালদের এমন অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানালেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি বলেন, কিছু সীমাবদ্ধতা থাকার পরও মামলাটির তদন্ত এগুচ্ছে।
এদিকে, সাঁওতালদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক। ২টি আশ্রয়ণ প্রকল্প ও ৩টি গুচ্ছগ্রামে এই বন্দোবস্ত করার কথা জানালেন তিনি।
তবে, এখনো পূর্বপুরুষদের জমি ফিরে পাওয়ার দাবিতে অনড় সাঁওতালরা। অন্যকোথাও নয়, তারা ফিরে যেতে চান নিজ ভিটায়।
0 comments:
Post a Comment